বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ : সাবেক কর্মকর্তার জামিনে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির উত্তরা শাখার তৎকালীন বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ইনচার্জ আসাদ মোহাম্মদ ফয়সাল শহীদকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. মাইনুল ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। এ ছাড়া দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আসামি আসাদ মোহাম্মদ ফয়সাল শহীদ ৮৩টি ভুয়া লোকাল এলসির (স্থানীয় ঋণপত্র) বিপরীতে ভুয়া রফতানি ডকুমেন্ট তৈরি করে। ওই ভুয়া ডকুমেন্টের মাধ্যমে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাত করেন তিনি। এরপর তিনি অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ঋণ তৈরি করে ৬৬টি এলসিবাবদ ৪ কোটি ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে, অবশিষ্ট ১৭টি এলসি বাবদ এক কোটি ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ার পর বেসিক ব্যাংকের উত্তরা শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক ও শাখা প্রদান মো. মফিজুর রহমান তালুকদার চলতি বছরের ১২ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিনই আসাদ মোহাম্মদ ফয়সাল শহীদকে গ্রেফতার করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২১ মে জামিন আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই খারিজ আবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট আসামিকে সরাসরি জামিন না দিয়ে সোমবার তার জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে রুল জারি করেছেন।

এফএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।