ঈদের হাওয়ায় ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের

মামুন আব্দুল্লাহ মামুন আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ২৪ জুন ২০১৮

ঈদের পর হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা করে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। আগের দাম ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমদানি করা বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। ঈদের আগে এই পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। লোড আনলোড বন্ধ ছিল। ফলে পাইকারি বাজারে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে বড় পেঁয়াজের দাম। এর সঙ্গে শ্রমিক সঙ্কটও রয়েছে।

রোববার সকালে মিরপুরের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের পর বাজার কিছুটা জমে উঠেছে। দোকানিরা পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে বিক্রির জন্য সাজিয়েছেন।

পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে খুচরা দোকানদার আনিস বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ভারতেরটার (বড় পেঁয়াজ)। খুচরা-পাইকারি দু’ক্ষেত্রেই হঠাৎ বেড়ে গেছে। পাল্লা (৫ কেজি) দরে বড় পেঁয়াজের দাম পড়তো কেজি প্রতি ১৭-১৮ টাকা। এখন সেটা পড়ছে ২৫-২৭ টাকা। এর বাইরে পরিবহন ভাড়া আছে। সব মিলিয়ে ৩০-এর নিচে কোনোভাবেই বিক্রি করা যাচ্ছে না। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।

কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি। রাজধানীর অন্যান্য পাইকারি বাজারগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাশূন্য অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শ্রমিক সঙ্কট।

পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন হাওলাদার জানান, ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির পেছনে মোকামগুলোতে শ্রমিক সঙ্কট অন্যতম কারণ। অনেকে ঈদের ছুটিতে গেছে, যারা আছেন, তারা মজুর বেশী নিচ্ছেন।

অন্যদিকে বাজারে কমেছে মুরগির দাম। রমজানে যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি িহতো ১৬০ টাকা দরের, এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আদা, রসুনেরও। তবে মাছের দাম এখনও বেশি।

মিরপুরের বাজারে জাহানারা জাগো নিউজকে জানান, বাজারে সহজে কোনো জিনিসের দাম কমে না। মুরগির দাম কমেছে, কিন্তু পেঁয়াজ ও শাকের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছে, ঈদের কারণে ‘সাপ্লাই’ নেই। ফলে দাম বেড়েছে। এটা কি যৌক্তিক কারণ হতে পারে?

এমএ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।