সঞ্চয়পত্রে অপরিবর্তিত সুদহার, কমেছে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছর সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা চলতি অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা কম। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদ হারে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের অর্থবিলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ প্রস্তাব করেন। সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রস্তাবিত ঘাটতি বাজেট মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা ধার করবে সরকারক। মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে বলে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ব্যাংকের তুলনায় সুদহার বেশি থাকায় গত কয়েকবছর ধরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি হচ্ছে আশার তুলনায় অনেক বেশি। বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৫ সালের মে মাসে সঞ্চয়পত্রে গড়ে প্রায় ২ শতাংশ সুদহার কমানো হয়।
এদিকে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সঞ্চয়পত্র থেকে নিট বিনিয়োগ এসেছে ৪০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। যা পুরো অর্থবছরের জন্য সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১৩২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।
এসআই/এসএইচএস/পিআর