করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৭ জুন ২০১৮

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটেও অপরিবর্তিত থাকছে করমুক্ত আয়সীমা। সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী বাজেটেও করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় আড়াই লাখ টাকার বেশি হলেই তাকে আয়কর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৮-১৯ অর্থবছর) অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। মহিলা করদাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য এ সীমা কিছুটা বেশি ছিল। করমুক্ত আয়ের সীমা কী হবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। তবে সরকার পর্যালোচনা করে দেখেছে যে উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নিচে থাকে। উন্নয়নশীল দেশে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণত মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণ।

অর্থাৎ, আমাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় অনেক বেশি। করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি হলে কর দিতে সক্ষম বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি করজালের বাইরে থেকে যান। এতে করের ভিত্তি দুর্বল থাকে। সার্বিক বিবেচনায় আগামী বছর করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি-করদাতার প্রতিবন্ধী বা পোষ্য সন্তান থাকলে প্রতি সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা হবে।

এ ছাড়া মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে তিন লাখ টাকা। প্রতিবন্ধীদের জন্য চার লাখ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা  করদাতাদের জন্য চার লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এমইউএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।