৪৭ বছরে বাজেটের আকার বাড়লো প্রায় ৬০০ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ০৭ জুন ২০১৮

১৯৭১ সালে মাত্র ৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। এখন অনেক দূর এগিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ব্যবধানে ৫৯১ গুণ বড় বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য (২০১৮-১৯) ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। এ বাজেটের আকার বাড়ছে মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচনী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ওই বাজেট দিয়েছিলেন প্রয়াত তাজউদ্দীন আহমদ। পরের দুটি বাজেটও দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন। ৪৬ বছর পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ৪৭তম যে বাজেট দিচ্ছেন তার আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে এই সময়ে বাজেটের আকার বাড়েছে ৫৯১ গুণ বেশি।

এদিকে একাধারে দশবার বাজেট দিয়ে নতুন রেকর্ড করছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে বাংলাদেশে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া টানা ছয়টি বাজেট দেন। তবে আবদুল মুহিত টানা দশবার বাজেট ছাড়াও এরশাদ সরকারের সময় (১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর) দুটি বাজেট দিয়েছিলেন। এ হিসেবে মুহিতের স্থাপনকারী বাজেটের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২টি। এর ফলে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সবচেয়ে বেশি মোট ১২টি বাজেট দেয়ার রেকর্ড গড়লেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

স্বাধীনতার পর বাজেটের আকার এবং অর্থমন্ত্রীর তালিকা

১৯৭২-৭৩ তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকা

১৯৭৩-৭৪ তাজউদ্দীন আহমদ ৯৯৫ কোটি টাকা

১৯৭৪-৭৫ তাজউদ্দীন আহমদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকা

১৯৭৫-৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা

১৯৭৬-৭৭ জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা

১৯৭৭-৭৮ লে. জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা

১৯৭৮-৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা

১৯৭৯-৮০ ড. এম এন হুদা ৩৩১৭ কোটি টাকা

১৯৮০-৮১ এম সাইফুর রহমান ৪১০৮ কোটি টাকা

১৯৮১-৮২ এম সাইফুর রহমান ৪৬৭৭ কোটি টাকা

১৯৮২-৮৩ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪৭৩৮ কোটি টাকা

১৯৮৩-৮৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫৮৯৬ কোটি টাকা

১৯৮৪-৮৫ এম সাইদুজ্জামান ৬৬৯৯ কোটি টাকা

১৯৮৫-৮৬ এম সাইদুজ্জামান ৭১৩৮ কোটি টাকা

১৯৮৬-৮৭ এম সাইদুজ্জামান ৮৫০৪ কোটি টাকা

১৯৮৭-৮৮ এম সাইদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকা

১৯৮৮-৮৯ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০৫৬৫ কোটি টাকা

১৯৮৯-৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২৭০৩ কোটি টাকা

১৯৯০-৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২৯৬০ কোটি টাকা

১৯৯১-’৯২ এম সাইফুর রহমান ১৫৫৮৪ কোটি টাকা

১৯৯২-৯৩ এম সাইফুর রহমান ১৭৬০৭ কোটি টাকা

১৯৯৩-৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯০৫০ কোটি টাকা

১৯৯৪-৯৫ এম সাইফুর রহমান ২০৯৪৮ কোটি টাকা

১৯৯৫-৯৬ এম সাইফুর রহমান ২৩১৭০ কোটি টাকা

১৯৯৬-৯৭ এসএএমএস কিবরিয়া ২৪৬০৩ কোটি টাকা

১৯৯৭-৯৮ এসএএমএস কিবরিয়া ২৭৭৮৬ কোটি টাকা

১৯৯৮-৯৯ এসএএমএস কিবরিয়া ২৯৫৩৭ কোটি টাকা

১৯৯৯-০০ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪২৫২ কোটি টাকা

২০০০-০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮৫২৪ কোটি টাকা

২০০১-০২ এসএএমএস কিবরিয়া ৪২৩০৬ কোটি টাকা

২০০২-০৩ এম সাইফুর রহমান ৪৪৮৫৪ কোটি টাকা

২০০৩-০৪ এম সাইফুর রহমান ৫১৯৮০ কোটি টাকা

২০০৪-০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭২৪৮ কোটি টাকা

২০০৫-০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১০৫৮ কোটি টাকা

২০০৬-০৭ এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকা

২০০৭-০৮ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা

২০০৮-০৯ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা

২০০৯-১০ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১১৩,৮১৫ কোটি টাকা

২০১০-১১ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৩২,১৭০ কোটি টাকা

২০১১-১২ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৬৫,০০০ কোটি টাকা

২০১২-১৩ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।

২০১৩-১৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা

২০১৪-১৫ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা

২০১৫-১৬ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা

২০১৬-১৭ আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা

২০১৭-১৮ আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা

২০১৮-১৯ আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

এসআই/এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।