আর্থিক খাত টেনে নামালো শেয়ারবাজারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৯ মে ২০১৮

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হলেও শেষ আধঘণ্টায় একের পর এক আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হয়েছে।

মূল্যসূচকের পাশাপাশি এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অথচ লেনদেন শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা আগেও দাম বৃদ্ধির তালিকায় ছিল অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।

এদিন লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। দিনের শুরুতে দেখা দেয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা অব্যাহত ছিল।

কিন্তু শেষ আধঘণ্টার লেনদেনে এসে একের পর এক আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ১৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম বাড়ে মাত্র ৫টির।

আর্থিক খাতের এই নেতিবাচক প্রভাব অন্য খাতের কোম্পানিগুলোতেও পড়ে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমে যায়। বিপরীতে দাম বাড়ে ১৩৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। অথচ লেনদেন শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগেও ১৭৫টি প্রতিষ্ঠান দাম বৃদ্ধির তালিকায় ছিল।

শেষ সময়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে।

তবে সূচওকর পতন হলেও এদিন বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে আজ মোট ৫৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ১৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে।

টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। আজ কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার। আর ১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক।

লেনদেনে এরপরে রয়েছে- নাহি অ্যালুমিনিয়াম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, বিএসআরএম এবং কুইন সাউথ টেক্সটাইল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২২ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১২২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির শেয়ারের দাম।

এমএএস/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।