সূচক কমলেও বেড়েছে লেনেদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও, তা দেশের শেয়ারবাজারকে সাপ্তাহিক দরপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। বিগত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এ সময়ে (২০-২৪ মে) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ২৫৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১০২ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছিল ৪১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।
এদিকে মূল্যসূচক কমলেও গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ বেশ কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮১ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট ৪০৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং দশমিক ৯৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রিকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ার। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট ১১৭ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। ৭৬ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বেক্সিমকো, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, লিগাসি ফুটওয়্যার, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, গ্রামীণ ফোন এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপয়ার্ড।
এমএএস/এমএমজেড/পিআর