সাত রোজা পেরুলেও জমে ওঠেনি ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যবসা

কাপড় ব্যবসার অন্যতম বৃহৎ বাজার পুরান ঢাকার ইসলামপুর। এখানে ৩৮টাকা থেকে শুরু করে ৭০০টাকা গজের কাপড় পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় কাপড় নিয়ে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে বিক্রি করে। ঈদের মৌসুম এলেই রমজানের শুরুতেই এ বাজার হয়ে ওঠে জমজমাট। কিন্তু সাত রোজা পেরুলেও সেই ইসলামপুরে এখন ক্রেতার সংখ্যা হাতেগোনা। নির্দিষ্ট ক্রেতা ছাড়া অন্য কোনো ক্রেতা নেই বললেই চলে।

ইসলামপুরের গুলশান আরা সিটি, বাবুলী স্টার সিটি, আমীর ম্যানশন, করিম ম্যানশন, জাহাঙ্গীর টাওয়ারসহ বিভিন্ন জায়গায় বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজারের অবস্থা জানতে চাইলে রহিম বেপারী নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানায়, আগে এই মৌসুমে দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। কিন্তু এখন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বেচাকেনা হয় না। খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রেতাদের আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাই কেউ এখন আর আগের মতো কাপড় কেনে না।

এদিকে গুলশান আরা সিটি, বাবুলী স্টার সিটি মার্কেটের এক পাশের ওয়াইজগেট রাস্তা সংস্কারের অভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে করে জনবহুল পুরান ঢাকায় দেশের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থেকে কাপড় নিয়ে আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। রাস্তা বন্ধ এবং রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে যানজট সর্বত্র লেগেই থাকে। কিন্তু রাস্তা সংস্কারেও নেই কোনো পদক্ষেপ।

jagonews24

বিথী নামের একজন ক্রেতা তার আয়না ফ্যাশনের জন্য কাপড় কিনতে আসেন। তিনি জানান, কাপড়ের মূল্য গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে কিছু কাপড়ের দাম আবার গজ প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে কাপড়ের চাহিদা এখন কম।

এদিকে মার্কেটগুলোতে সাধারণত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা কিছুটা থাকে।

ইসলামপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, যানজট, পরিবহন সমস্যা, পুলিশের চাঁদাবাজির জন্য এখানে কাপড় আসতে দেরি হয়। এছাড়া মার্কেটের আশেপাশের রাস্তার অবস্থা খারাপ। বিভিন্ন পরিবহন মার্কেটগুলোর সামনে এনে রাখে। ফলে সেই মার্কেটে ক্রেতারা আর প্রবেশ করতে চায় না। তবে ঈদের আগে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিক্রেতেরা।

মাহমুদুল হাসান তুহিন/এমবিআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।