‘খেয়াল খুশি মতো স্বপ্নকে জরিমানা করছেন আমলারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ২১ মে ২০১৮

সরকারি আমলারা নিজেদের শাসক মনে করেন। কারো কোনো বক্তব্য বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে খেয়াল খুশি মতো জরিমানা করে যাচ্ছেন। তাদের এই অবিবেচকের মতো জরিমানার ফলে স্বপ্নের মতো রিটেইল বিজনেস বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ স্বপ্নের আউটলেটে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সুপার শপ স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির। এ সময় র‌্যাবের পরিচালিত অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, ওজনে কম দেয়া, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রিসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য মজুতের অভিযোগে সুপার শপ স্বপ্নকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল স্বপ্নের বনানী আউটলেটে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এর প্রতিবাদেই আজ সংবাদ সম্মেলন করল এসিআই গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন সুপার শপ।

ভোক্তাকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাব্বির হাসান বলেন, ‘সুপার শপ স্বপ্ন ধারাবাহিকভাবে ভোক্তাদের মান সম্মত পণ্য সরবরাহ করে আসছে। দিন দিন আমাদের ক্রেতা সংখ্যাও বাড়ছে। এই অবস্থায় অন্য কোনো চক্র এর পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে। নইলে ঢাকা শহর জুড়ে এত সুপার শপ থাকতে স্বপ্নকে কেন বেছে নেয়া হয়েছে।’

জরিমানার ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোকাকোলা ও পেপসি জাতীয় পানীয়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পান। আমরা সংশ্লিষ্ট কোকা-কোলার এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের মেয়াদহীন পণ্যে সমস্যা নেই। দেশে ২৫ ধরনের পণ্যে এই ধরনের মেয়াদি ট্যাগ লাগিয়ে পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে।’

ওজনে কম দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই ম্যাজিস্ট্রেট কবে কার কাছ থেকে শুনেছেন প্যাকেটজাত অনেক পণ্যে ওজন কম দেয়া থাকে। তার ওপর ভিত্তি করেই তিনি জরিমানা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গরুর মাংসের বেশি দাম রাখা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক না। কারণ অল্প বয়সী গরু আর বেশি বয়সী গরুর মাংসের দামে পার্থক্য থাকে। এর বাইরে হাড়বিহীন মাংসের দাম আর অন্য মাংসের দাম এক হতেই পারে না।’

‘অবিবেচকের মতো জরিমানা করে সেটা আবার ফেসবুকে ভাইরাল করেছেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। একই সঙ্গে, নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে অনেককে ট্যাগ করেছেন। এটা কি ধরনের সামাজিক বিচার। আমরা কোন সমাজের জন্য কাজ করছি। কোন সমাজে একটি মান সম্মত পণ্য পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি’-প্রশ্ন করেন তিনি।

এর বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষ ভুলের ঊর্ধে না। আমাদেরও ছোটখাট ভুল থাকতে পারে। তাদের এই জরিমানা বা অন্য কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেই তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এই অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা করব না।’

এমএ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।