বেড়েছে মুড়ির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ১৬ মে ২০১৮

রমজান সামনে রেখে বেড়েছে মুড়ির দাম। প্রতি কেজি খোলা মুড়ির দাম ৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মুড়ির খুচরা ব্যবসায়ী, ক্রেতা এবং কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মুড়ির দাম বাড়ার চিত্র পাওয়া গেছে।

যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ দোতলা মসজিদ এলাকার দোকানদার বাবুল হোসেন বলেন, এখন মুড়ির কেজি ৬৫ টাকা। আগে এ মুড়ি ৬০ টাকায় বিক্রি করতাম। আল্লাহর দান স্টোরের দোকানদার শাহীন বলেন, আমি শুধু রমজানেই মুড়ি বিক্রি করি। প্রতি কেজি মুড়ি ৭০ টাকা।

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া গোবিন্দপুর বাজারের মুড়ি, চিড়া ও গুড়ের দোকানি মো. রাসেল বলেন, আমরা তিন ধরনের মুড়ি বিক্রি করি, সুপার (বড় আকারের মুড়ি) প্রতি কেজি ৭০ টাকা আর স্বর্ণা (ছোট আকারের মুড়ি) ৬৫ টাকা। প্রতি কেজি মুড়িতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে জানিয়ে রাসেল বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে মুড়ির দাম আরও বাড়বে। কারণ তখন চাহিদাও বাড়বে।

শনির আখড়া আন্ডার পাসের উত্তর পাশে ফুটপাতে বসে মুড়ি বিক্রি করছিলেন শাহ আলম। রমজানে মুড়ির চাহিদা বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রমজান আইলে মুড়ি বেচি। এই সময়ে দাম একটু বেশি হয়। এবারও বেড়েছে। বরিশালের হাতে ভাজা মুড়ি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। আগে দাম ছিল ১০০ টাকা।’

গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের হোসেন জেনারেল স্টোরের দোকানদার জানান, বিভিন্ন কোম্পানির আধা কেজি প্যাকেট মুড়ির দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এক্ষেত্রে দাম বাড়েনি। বর্তমানে খোলা মুড়ি প্রতি কেজি ৮০ টাকা জানিয়ে তিনি বলেন, খোলা মুড়ির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বরিশালের হাতে ভাজা মুড়ি আধা কেজি ৭০ টাকা বলেও জানান তিনি।

muri

মুড়ি কারখানার মালিক জাফর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, মানুষ এখন আর মুড়ি খায় না। শুধু রোজার এক মাস এটি চলে। এক মাস ব্যবসা করে ১২ মাস চলা যায় না, এজন্য অনেক মুড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

খাজা ফুডের মালিক জাফর বলেন, যাত্রাবাড়ীর পাঁচটি কারখানার মধ্যে আমিই একমাত্র টিকে আছি। নানা ধরনের মুড়ির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ নম্বর ১৬ চাল দিয়ে মুড়ি বানালে সেটা একটু বড় বড় হয়, সেটাকে বলে সুপার। নরমাল ১৬ ধান, বিনা-৭, আটাশ চাল দিয়ে যে মুড়ি তৈরি করা হয়। সেগুলোর আকার ছোট হয়, বলে স্বর্ণা।

তিনি বলেন, কারখানায় সাধারণত ভালো মানের মুড়ি বিক্রি হয় ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। ছোট মুড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫২ টাকায়।

রমজান সামনে রেখে কারখানাগুলো মুড়ির দাম বাড়ায় না- এমন দাবি করে জাফর আহমেদ বলেন, দাম বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে মুড়ির চালের পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে গেলে কখনও কখনও কেজিপ্রতি মুড়ির দাম দু-এক টাকা বাড়ানো হয়।

রাজধানী ছাড়াও গাজীপুর, মাওনা, ফতুল্লার দিকে মুড়ির কারখানা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরএমএম/ওআর/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।