চীনা জোটের সঙ্গে ডিএসই’র চুক্তি সই
কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামের (জোট) সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চুক্তিকে দেশের শেয়ারবাজারের জন্য অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার বিকেলে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান, শেনঝেনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ওয়াং জেনজুন এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিদর্শন বোর্ডের প্রধান পেন শুয়েশিয়ান সই করেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য রেড লেটার ডে (অবিস্মরণীয় দিন)। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বোর্ড পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আজকের দিনটা তাদের জন্যও রেড লেটার ডে।
চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারীর চুক্তি সই হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, এই চুক্তির ফলে ডিএসই’র সুনাম দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে ডিএসই’র স্বচ্ছতা বাড়বে।
চীনা জোটটি ডিএসই’র ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনবে। প্রতিটি শেয়ারের জন্য জোটটি দেবে ২১ টাকা। গত ৩ মে অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র কমিশন সভায় কিছু শর্ত সাপেক্ষে চীনের এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়। ওই অনুমোদন নিয়েই ডিএসই এই চুক্তি সই করছে। বিএসইসি’র শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সব কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও দেশের প্রযোজ্য অন্যান্য আইনসহ এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ এবং ডিএসই’র ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে। চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চুক্তি সইয়ের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশনের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত চুক্তির শর্তাবলী ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পরিবর্তন করা যাবে না।
এমএএস/ওআর/পিআর