বীমার টাকা পেল ৪২৯ গার্মেন্ট শ্রমিকের পরিবার
বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত বিভিন্ন গার্মেন্ট কারখানার ৪২৯ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারকে বীমা দাবির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এর আওতায় মৃত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীমা দাবির এ টাকা পরিশোধ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টের প্রতিটি রফতানির দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ একটি ফান্ডে জমা দেয়ার বিধান করেছি। এই ফান্ডে ৯৬ কোটি টাকা জমা হয়েছে। একদিন হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ফান্ড থেকে শ্রমিকদের বীমা দাবি হিসাবে যে ২ লাখ টাকা দেয়া হবে তার জন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই। বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ থেকে তালিকা পাঠালেই হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘কোনো শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মারা গেলে তার পরিবারকে ২ লাখ টাকার পাশাপাশি আরও ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে। এছাড়া শ্রমিকের ছেলে-মেয়ে যদি সরকারি মেডিকেল কলেজ বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাকে এ তহবিল থেকে সহায়তা করা হবে। কোনো শ্রমিকের সন্তান জিপিএ ৫ পেলে তাকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।’
সেলিম ওসমানের দাবির প্রেক্ষিতে মুজিবুল হক বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমিতে পিপিপি'র আওতায় ৩০০ বেডের বিশেষায়িত হাসপাতাল হবে। এর মধ্যে ২০০ বেডে বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা করবেন। আর ১০০ বেড শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। যেখানে তারা নামমাত্র খরচে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য নতুন ওয়েজ বোর্ড হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটি সুপারিশ করবে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আপনাদের বেতন কতোটুকু বাড়ানো যায় আমরা তার পদক্ষেপ নেব।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আফরোজা খান বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে পাঠনো হয়েছে। এই স্যাটেলাইট মালিক-শ্রমিক সবার উপকারে আসবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, জিএসপি বাতিল হওয়ার পর নতুন করে ৫০০ স্পিনিং মিল তৈরি হয়েছে। এতে ৩৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বিকেএমইএ'র সদস্য গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জুন মাসের মাঝ বরাবর বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিকেএমইএ সদস্যদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে শ্রমিকরা জুন মাসের যে কয়দিন কাজ করবে তার বেতন ও ঈদের বোনাস পরিশোধ করার।
এমএএস/এমএমজেড/এমএস