আরও ৬ মাস থাকবে অ্যাকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ পিএম, ১০ মে ২০১৮

সংস্কার কাজ তদারকির জন্য গঠিত রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন বা সংস্কারকাজ সমন্বয় সেলের (আরসিসি) সক্ষমতা যাচাইয়ে আরও ছয় মাস বাংলাদেশে থাকবে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড। তবে আরসিসি সক্ষমতা অর্জন না করলে আগামীতে ছয় মাস করে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলেনে এ কথা বলেন অ্যাকর্ড স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এডওয়ার্ড ডেভিড সাউথহল।

বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কেন থাকতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এডওয়ার্ড ডেভিড সাউথহল বলেন, কারখানা সংস্কার কাজ তদারকি করতে বাংলাদেশ আরসিসি গঠন করেছে। এই সেল কারখানার মানোন্নয়নে যথাযথ কাজ করতে পারছে কি না তা যাচাই করবে অ্যাকর্ড। এই যাচাইয়ের মেয়াদ হতে পারে ছয় মাস। যদি অ্যাকর্ড দেখতে পায় য়ে, আরসিসি অ্যাকর্ডের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে তখন তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। তবে আরসিসি সক্ষমতা অর্জন না করলে আগামীতে ছয় মাস করে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়বে।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। ক্রেতা জোট দুটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিরাপত্তার মানোন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। তারা এই শিল্পের পরমবন্ধু। অ্যাকর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলতি মাসেই অ্যাকর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তাদের সবকিছু গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে। এছাড়া অ্যাকর্ডের কাজের দায়িত্ব বুঝে নিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই) এখনও প্রস্তুত নয়। এসব দিক বিবেচনা করে সরকার অ্যাকর্ডের মেযাদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে। এই মেয়াদের জন্য অ্যাকর্ডকে নিয়ে ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে সরকার, ব্র্যান্ড, শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাকর্ড জানায়, এক হাজার ৬২০টি কারখানা তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর ৮৫ শতাংশ কারখানাই তাদের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। এসব কারখানায় কাজ করছে প্রায় ২৪ লাখ শ্রমিক।

জোটটি আরও জানায়, কারখানা সংস্কারকাজের তদারকরি দক্ষাতা অর্জনসহ কিছু শর্তের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এসব শর্ত পূরণ করতে না পারলে অ্যাকর্ডের কাজ চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান ও মাহমুদ হাসান খান বাবু, অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এইচঅ্যান্ডএমের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কার্ল গার্নার ফার্গলিন, শ্রমিকনেতা রায় রমেশ চন্দ্র, আমিরুল হক আমিন প্রমুখ।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।