চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রভাব নেই শেয়ারবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ০৭ মে ২০১৮

চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়াম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় দেশের শেয়ারবাজারের জন্য বড় ধরণের সুখবর হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা অবিহিত করলেও বাজারে তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

বরং টানা দরপতনের মধ্যেই রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। চীনা কনসোর্টিয়াম অনুমোদন পাওয়ার পর দুই কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ দু’দিনই দরপতন ঘটেছে দেশের শেয়ারবাজারে। আর সোমবারের দরপতনের মাধ্যমে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএস্ই) টানা চার কার্যদিবস পতন হলো।

অথচ বাজারে গুঞ্জন ছিল চীনের কনসোর্টিয়াম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন পেলে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেবে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আসার সঞ্চার হয়। কিন্তু বাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে।

মনির হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘ব্রোকারেজ হাউসে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল চীনা কনসোর্টিয়াম কৌশলগত বিনিয়োগকারীর অনুমোদন পাবে এবং বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু এখন বাজারে তো তার কোনো প্রভাব দেখছি না। বাজারে টানা দরপতন চলছে। অথচ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম সংশ্লিষ্টরা চীনা কনসোর্টিয়ামের অনুমোদনকে বাজারের জন্য বিরাট সুখবর বলে উল্লেখ করছেন।’

জামিরুল রেজা নামে অপর এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানিগুলোর দেয়া বিশেষ ছাড়, চীনা কনসোর্টিয়ামের অনুমোদন এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে শেয়ারের মূল্য ততই কমছে। আর আমাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

মূল্যসূচকের পাশাপাশি সোমবার প্রধান বাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। বাজারটিতে ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির দাম।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৯০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে।

এদিন টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাইয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণ ফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপইয়ার্ড, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, নাভানা সিএনজি এবং ইফাদ অটোস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ১০৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ারের দাম ।

এমএএস/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।