আর্থিক-ওধুষ-বস্ত্রে রক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হলেও সপ্তাহের শেষ কার্যাদিবসে (বৃহস্পতিবার) আর্থিক, ওধুষ ও বস্ত্র খাতের কল্যাণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএস্ই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো দেশের শেয়ারবাজার।

একের পর এক ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্যেও কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে আর্থিক, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে দিন শেষে পতনের থেকে দাম বৃদ্ধির তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে।

তবে ব্যাংকের তুলনায় দাম বৃদ্ধির তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার মূলধন তুলনামূলক কম থাকায় সূচকের বড় উত্থন হয়নি। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৮টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির দাম।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯টি ব্যাংকের মধ্যে ১৭টির দরপতন হয়ছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০টির। অপরদিকে আর্থিক খাতের ১৫টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ৫টির। ওষুধ খতের ২৯টির মধ্যে ১৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১০টির। আর বস্ত্র খাতের ২৭টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ১৭টির।

এদিকে সবকটি মূল্যসূচকের ঊত্থানের পাশাপাশি এ দিন বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। লেনদেন বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক, ওষুধ ও জ্বালানি খাত। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ২০টি কোম্পানির মধ্যেই ১৪টিই এই তিন খাতের। দিনের কার্যক্রম শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ১ লাখ টাকা।

টাকার অংকে বাজারটিতে আজ সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির মোট ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি টাকার শেয়ার। আর ১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, বিএসআরএম, ইবনে সিনা, নাভানা সিএনজি, ডরিন পাওয়ার, ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্মা এইড।

এদিকে বৃহস্পতিবার দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৯ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন বাজারটিতে মোট ১৩৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ১০৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির শেয়ারের দাম।

এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।