‘তহবিলে টাকা আছে কেউ নিতে আসে না'

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পায়নি এমন কেউ নেই। আমাদের তহবিলে টাকা আছে কেউ নিতে আসে না। এর অর্থ দুর্ঘটনায় সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।

শনিবার বিজিএমইএ ভবনে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পাঁচ বছর পূর্তি সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৫ বছর হয়েছে। এখনও যারা ক্ষতিপূর দাবি করেননি আমার মনে হয় তারা কেউ আসবেন না। যারা দাবি করেছে তারা সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।

প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত কোন শ্রমিক বলতে পারবে না যে তারা ক্ষতিপূরণ পায়নি। রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছিল। এ ফান্ড থেকে ২৪০ কোটি টাকা রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হয়েছে। এখনও টাকা রয়েছে কিন্তু কেউ নিতে আসে না।

বিজিএমইএর সভাপতি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দুর্ঘটনা হয়। কিন্তু সেটা নিয়ে রানা প্লাজার মতো এত বেশি প্রপাগাণ্ডা হয় না। তিনি বলেন, এত অপপ্রচারের মধ্যেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন সবুজ শিল্পায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। লিড সার্টিফাইড ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টি কারখানাই বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, আমরা রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কারখানাগুলো অনেক সংস্কার করেছি। এখন বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় আমাদের কারখানাগুলো নিরাপদ। ফলে এ খাতে আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। গত বছর দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল এ বছর সেটা ১১ শতাংশ হয়েছে।

সিদ্দিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১৩৮ জন মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। দুই হাজার জনের বেশি আহত হয়। প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত প্রায় ৮৫০ জনকে বিজিএমই-এর উদ্যেগে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হয়।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর নিরাপদ কর্মপরিবেশ রক্ষায় বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্স কাজ করেছে। তাদের ৫ বছর শেষ হবে আগামী মে মাসে। সরকার, ক্রেতাজোট, বিজিএমইএর ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন হবে। তারা পরবর্তী ৬ মাস কাজ করবে।

পোশাক শিল্প নিয়ে এখনও বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আমরা মনে করি সবার সহোযোগিতা পেলে আগামী পাঁচ বছরে এ শিল্পে দুই কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহনীয় পর্যায় নিয়ে এসেছে। আশা করি দুই-এক মাসের মধ্যে গ্যাসও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির, পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, এনামুল হক খান বাবল প্রমুখ।

এসআই/এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।