মোটরসাইকেল উৎপাদনে ভ্যাট মওকুফের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

মোটরসাইকেল উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার চায় দেশীয় উৎপাদনকারীরা। পাশাপাশি দেশীয় যেসব উদ্যোক্তা মোটর সাইকেল রফতানি করবেন, তাদেরকে রফতানি পণ্যের ওপর ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকর্চারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএএমএ)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় মটরসাইকেল প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর কয়েকটি সংগঠন এই প্রস্তাব করে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিএএএমএ প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা মোটর সাইকেল রফতানি করি, তাদেরকে নগদ সহায়তা দেয়া হোক। এটি অপ্রচলিত পণ্য হিসাবে তালিকাভুক্ত করে এই সুবিধা দেয়া যায়’।

এ সময় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই নেতা আবদুল হক বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একমাত্র ওয়ালটন এখন ভ্যাট ও রফতানিতে সুবিধা পাচ্ছে। এটা হতে পারে না। আপনি যখন দেবেন সব প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে।

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোটরসাইকেল রফতানির ক্ষেত্রে আগামী ৫ বছর কর রেয়াত সুবিধার প্রস্তাব করছি। আমরা নেপালসহ কয়েকটি দেশে মোটর সাইকেল রফতানি করছি। আফ্রিকায় রফতানির চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই সেক্টরে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। সে দেশের সরকার এই খাতে প্রণোদনা দেয়ায় তারা ওইসব দেশে বাজার দখল করেছে। তাই আমরা বিদেশে মোটর সাইকেল রফতানির জন্য ২০ভাগ নগদ প্রণোদনা সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব করছি’।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাক ট্রেইলার ও কন্টেইনার ক্যারিয়ার আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আগামী বাজেটে তা কমাতে হবে’।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এই ধরনের পরিবহন ৫ থেকে ৬ হাজার রয়েছে।

সভায় অন্য একটি সংগঠনের পক্ষে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করা হয়। এরমধ্যে রোড ট্রাক্টর ফর সেমি ট্রেইলার, ডাম্পার ও ট্রিপার ট্রাকের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব অন্যতম।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘মোটরসাইকেল রফতানির ক্ষেত্রে আমরা ইনসেনটিভের বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবো, এটা আমাদের দেশের জন্য ভাল’।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিনিয়োগ বান্ধব ও বাণিজ্যমুখি বাজেট প্রনয়নের চেষ্টা করছি। এজন্য একটি কমিটি করা হয়েছে, সে কমিটির প্রস্তাবের আলোকে বাজেট প্রণয়ন করা হবে। যেন একটি সার্বজনীন বাজেট করা যায়’।

এমএ/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।