বেভারেজে ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

সারা পৃথিবীতে কর হারের দিক থেকে বেভারেজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর বাংলাদেশে। বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমএ) বলেছে, এই শুল্ক কমানো উচিত। আগামী বাজেটে ১০ শতাংশ কমলে এ খাতের আরও বিকাশ হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ( এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় এনবিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি শামীমা আক্তার বলেন, বেভারেজ সেক্টরের বিকাশে এ খাতের উৎপাদন ও বিপণনে স্থানীয় পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করের (মূসক) অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। এর ফলে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে যাচ্ছি। যা পৃথিবীতে কর হারের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর দিয়ে যাচ্ছি। এটা কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে গত ৯ বছরে ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু করের ভারে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না। যদি কর হার আরও কম থাকতো তবে, তারা আবারও বিনিয়োগ করতে পারতো। কোম্পানিগুলো বিদেশেও রফতানি করতে পারতো। সরকার এ খাত থেকে আরও বেশি রাজস্ব পেত।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কোমল পানীয় খেয়ে শিশু কিশোররা মোটা হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কোমল পানিতে বেশি চিনি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আশা করি, সবাই মান সম্মত পণ্য উৎপাদন করবে।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে শুল্ক কমালে যদি এ খাত থেকে রফতানি আয় বাড়ে, তাহলে সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। এ নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনায় করব।

এমএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।