বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুমান নির্ভর : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক কি বললো তাতে কিছু আসে যায় না। তারা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তথ্য দেয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এতে চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়।

সোমবার বিশ্বব্যাংক বিবিএসের এই প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংশয় আছে, যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫ অথবা ৬.৬ শতাংশ হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

পরিকল্পনামন্ত্রীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কামাল। শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক ফরমাল ইকোনোমি নিয়ে কাজ করে। কোনো সার্ভে নাই, তারা ঢাকা অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকার বাইরে যায় না।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের ফিগার সঠিক নয়, আমাদের (বিবিএস) ফিগার সঠিক। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যে আমি হতভম্ব। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা ঢাকা অফিসে বসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করেন। তারা (বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা) ঢাকার বাইরে যায় না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব। এটা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়। বিশ্বব্যাংকের ভারত অফিসের কর্মকর্তারা যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফিগার দিতো তবে এটা ৮ শতাংশ হতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক কেনই আমাদের তথ্য নিয়ে মাতামাতি করে। বিশ্বব্যাংক বিবিএস-এ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তারাই (বিশ্বব্যাংক) আবার বিবিএস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের গ্রহণ কেন করে না আমরা জানি না।

এমএ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।