হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগকারী ফিরে যাচ্ছে
হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য অনেক কর সুবিধা দিয়েছে। এক বছরে ১১টি এসআরও করেছে। কিন্তু এসব এসআরওতে কিছু সমস্যা আছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এসেও ফিরে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এনবিআর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিনিয়োগসংক্রান্ত সরকারি দফতরগুলোর প্রধানরা এসব কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।
হোসনে আরা বেগম বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এই খাতে নগদ ও বন্ড সুবিধা দেয়া জরুরি। প্রণোদনা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
বেপজার সদস্য (অর্থ) মিজানুর রহমান বলেন, এনবিআরের কিছু এসআরও একটি আরেকটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এগুলো সংশোধন করতে হবে। পাশাপাশি ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও বেশি কমিশারিয়েট লাইসেন্স, রফতানি পণ্যের নমুনা (স্যাম্পল) আনার বাধাগুলো দূর করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বিল্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, কর নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। যাতে বেশি পরিমাণে ব্যক্তি ও উদ্যোক্তাকে করের আওতায় আনা যায়। এতে সার্বিকভাবে কর আপাতন সাধারণ জনগোষ্ঠীর ওপর থেকে হ্রাস পাবে। সভায় বিল্ডের পক্ষ থেকে আয়কর সম্পর্কিত ৪১টি, কাস্টমস সম্পর্কিত ৪৯টি এবং ভ্যাট সম্পর্কিত ২০টি প্রস্তাব দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাইটেক পার্ক অথরিটির উচিত নিজেদের বার্গেনেং ক্যাপাসিটি বাড়ানো। গার্মেন্ট খাত নগদ ও বন্ড উভয় সুবিধাই নিচ্ছে। এটিও একটি উদীয়মান খাত। তারা পেলে আপনারা পাবেন না কেন।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগের জন্য সামগ্রিকভাবে কর্পোরেট করহার কমানোর প্রয়োজনীয় থাকলেও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
এমএ/বিএ