বাজারের সেরা তরমুজ ‘বিগ ফ্যামিলি’ ও ‘ব্লাক ডায়মন্ড’

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৮

চৈত্ররে তীব্র তাপদাহে রসালো ফল তরমুজের জুড়ি নেই। প্রচণ্ড গরমে ঘরে বা বাইরে গলা যখন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তখন এক ফালি মিষ্টি তরমুজে কামড় বসিয়ে কী যে তৃপ্তি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই তরমুজ খেতে ভালোবাসেন।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তরমুজের বীজ বপন করা হয়। উৎপাদন প্রক্রিয়ার নানা ধাপ পেরিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ ফলটি বাজারে আসতে শুরু করে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্য়ন্ত দেশীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমি এ ফলটি বাজারে পাওয়া যায়।

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণ ক্রেতাদের অনেকেই এগুলোর নাম জানেন না, তবে বেশিরভাগ ক্রেতারই তরমুজের প্রজাতি সম্পর্কে জানার দারুন আগ্রহ রয়েছে।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক মঙ্গলবার সরেজমিন পুরান ঢাকার বাদামতলী ও ওয়াইজঘাট ঘুরে উৎপাদক, আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জেনেছেন, বর্তমানে দেশে মোট সাত প্রজাতির তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে। এগুলো হলো- বিগ ফ্যামিলি, থাইল্যান্ড-২, ব্লাক ডায়মন্ড, ব্লাক টাইগার, জাগোয়ার, ড্রাগন ও বাদশা।

Tarmuj-01

পটুয়াখালির রাঙ্গাবালি উপজেলার সেনের হাওলা গ্রামের তরমুজ চাষি শওকত পেদা জানান, সাত প্রজাতির তরমুজের মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য সবুজ রংয়ের বিগ ফ্যামিলি (বাংলা লিঙ্ক নামে পরিচিত) তরমুজের বীজ সবচেয়ে উপযুক্ত। পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলার চাষিদের সিংহভাগ বিগ ফ্যামিলি প্রজাতির তরমুজ চাষ করেন। এরপর সবুজ প্রজাতির তরমুজের মধ্যে যথাক্রমে ড্রাগন দ্বিতীয় ও থাইল্যান্ড-২ তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। কালো রংয়ের তরমুজের মধ্যে ব্লাক ডায়মন্ড প্রথম ও ড্রাগন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাষ হয়।

বাদামতলীর শাকিল অ্যান্ড সৌরভ আড়তের মিজানুর রহমান বলেন, বিগ ফ্যামিলি আর ব্লাক ডায়মন্ড তরমুজের চাহিদা বেশি। তিনি বলেন, তরমুজ হইলো পানি,আবহাওয়া উল্টা-পাল্টা হইলে (ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুযোর্গ) ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। তারা চার- পাঁচ মাস আগে যে অর্থ লগ্নি করেন তাও ঝুঁকিতে পড়ে যায়। তবে এ বছর উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি।

তিনি জানান, ৮ থেকে ১২ ওজনের একটি তরমুজ পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং ১৫ কেজির ওপরে তরমুজ ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

এমইউ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।