ফারমার্স ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী এবং বর্তমান এমডি একেএম শামীমসহ ১৭ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মঙ্গলবার চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন পুলিশও এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকটির অর্থ আত্মসাতে জড়িত অনেকেই সপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মাহবুবুল হক চিশতীসহ অন্যরা যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাহবুবুল হক চিশতী পাসপোর্ট করেছেন মো. বাবুল চিশতী নামে। তার এই নামের ঠিকানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুদক জানায়, বাবুল চিশতী-রোজি চিশতী দম্পতি ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত অন্যরা হলেন, তাদের ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, মাজেদুল হক চিশতী, তাদের মেয়ে রিমি চিশতী, পুত্রবধূ ফারহানা আহমেদ চিশতী।

এছাড়া তালিকার অন্যরা হলেন, ব্যাংকের এসইভিপি গাজী সালাহ্উদ্দিন, ইভিপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ভিপি লুৎফুল হক, ভিপি মো. মনিরুল হক, এফভিপি মো. তাফাজ্জল হোসেন, এভিপি মোহাম্মদ শামসুল হাসান ভূঁইয়া, এইও মাহবুব আহমেদ ও ইও মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইমিগ্রেশন পুলিশের সিনিয়র এসপি শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি। তবে এখনও অফিসিয়ালি আমরা চিঠি পাইনি। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

ব্যাংকটির পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি, ঋণে কমিশন নেয়া, গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে কার্যক্রমে আসা এই ব্যাংক ইতোমধ্যে ২৮৩ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকটির কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

জেইউ/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।