বিএবির প্রস্তাবনা অগ্রহণযোগ্য : টিআইবি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৫ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৮

ঋণ কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংক খাতের ‘নেতিবাচক’ সংবাদ বন্ধে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবি বলছে, এ ধরনের প্রস্তাবনা মেনে নেয়া হলে তা এ খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের সুরক্ষা দেবে এবং অধিকতর দুর্নীতির বিস্তার ঘটাবে। বিএবি’র ওই প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, বিএবির মতে ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট নেতিবাচক সংবাদ গ্রাহক আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এজন্য এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত রাখার জন্য ব্যাংক রিপোর্টিং অ্যাক্ট করার সুপারিশ করেছে বিএবি। প্রস্তাবটি শুধুমাত্র উটপাখিসম আচরণের বহিঃপ্রকাশই নয়, এটি ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতির তথ্য গোপন রেখে এসবের সুরক্ষা দেয়া ও আরও বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির অপপ্রয়াস। কোনো অবস্থায়ই এ ধরনের জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বেসরকারি হলেও ব্যাংকিং খাত বাস্তবে জনগণের অর্থের ওপর নির্ভরশীল বিধায় এ খাতের ইতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি দুর্নীতি, অনিয়মসহ সব প্রকার তথ্য জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। তথ্য প্রকাশে প্রতিরোধক তৈরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তার করার কোনো অধিকার জনগণ ব্যাংক খাতকে দেয়নি।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘ব্যাংক রিপোর্টিং অ্যাক্ট-এর অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে, তবে তা দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য নয়, বরং এ ধরনের তথ্য যেন অবাধে প্রকাশিত হতে পারে, তার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় বা চাপে যেন-তেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইতোমধ্যে ব্যাপক সঙ্কটে জর্জরিত ব্যাংকিং খাতকে সমূলে ধ্বংসের দিকে ধাবিত না করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানাচ্ছি।’

এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।