পাটের চটেও শুল্ক বসাচ্ছে ভারত
বাংলাদেশের পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের উচ্চহারে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপের ফলে দেশটিতে পাটপণ্য রফতানি কমে গেছে। এ অবস্থায় আবার নতুন করে জুট সেকিং ক্লথস বা পাটের চটের উপরও শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছে যে, বাংলাদেশ থেকে পাটের ব্যাগ বা বস্তা আমদানিতে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক থাকলেও সেটি এড়িয়ে অনেক ব্যবসায়ী জুট সেকিং ক্লথস (পাটের চট) আমদানি করছে, যা দিয়ে পরে বস্তা তৈরি করা হয়।
এছাড়া ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ) এক আবেদনে অভিযোগ করা হয়, পাটের বস্তার উপর যে শুল্ক রয়েছে তা এড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা জুট সেকিং ক্লথস বাংলাদেশ থেকে আমদানি করছে। মূলত এর ভিত্তিতেই তদন্ত চালায় ডিজেএডি।
সংস্থাটি এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, পাটের বস্তার উপর যে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক রয়েছে তা এড়াতে অনেকে পাটের চট আমদানি করছে। যা দিয়ে পরে পাটের বস্তাই তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারকে সুবিধা দিতে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশি পাটপণ্যে টনপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৫২ ডলারসহ বিভিন্ন হারে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত। তখন পাটের চটকে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপের বাইরে রাখা হয়।
অ্যান্টিডাম্পিংয়ের ফলে ভারতে পাটপণ্য রফতানিতে অনেকটা ধস নামে। প্রথম ছয় মাসে রফতানি কমে প্রায় ৯০ শতাংশ। পরে কিছুটা কমলেও চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রফতানি কমার হার দাঁড়িয়েছে ৫৫ শতাংশে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে ভারতে বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রফতানি হয়েছে পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। আগের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। এ সময় অন্য সব বাজারে পাট ও পাটপণ্যের রফতানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের মতো।
আরএস/আরআইপি