‘উন্নয়নশীল দেশ হলেও জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া যাবে’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত এলডিসিভুক্ত দেশের সব সুবিধা ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পরও ইউরোপিয়ন ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে।
তবে ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করবে। তখন বৈদেশিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল আয়োজিত ‘এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপেটেটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে জাতিসংঘের দেয়া তিনটি শর্তই পূরণ করেছে, অর্থাৎ যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফলে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করবে ২০২৪ সালে।
তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে। বঙ্গবন্ধু দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। একটি দেশকে স্বাধীন করা, অপরটি বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে গেছেন, আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া তারই প্রমাণ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে তৈরি পোশাক শিল্প রফতানিতে কোটা প্রথা বাতিল করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। যে সব দেশ ও সংস্থা রফতানি বাণিজ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ।
তোফায়েল বলেন, রফতানির সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। শুধু একটি পণ্যের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য সরকার ইতিমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত এক্সক্লুসিভ সেক্রেটারিয়েট ফর ইআইএফএর নির্বাহী পরিচালক রত্মাকর অধিকারী, বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব আলী আহমেদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় ভট্টাচার্য্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম