বিনিয়োগ আকর্ষণ বাংলাদেশের জন্য কঠিন না : অর্থমন্ত্রী
বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের জন্য বর্তমানে বিনিয়োগ বাড়ানো বা বিনিয়োগ আকর্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এটা তেমন কোনো কঠিন বিষয় হবে না। কারণ বাংলাদেশের যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল রেডিসানে ‘বাংলাদেশ গ্রাজুয়েশন ফরম এলডিসি স্ট্যাটাস : অপরচুনিটি অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, ইউএনওএইচআরএলএলএসের সিনিয়র প্রতিনিধি ফেকিতামোয়েলোয়া কাতোয়া, ইউএনডিপির ডিরেক্টর হোলিয়াং জু, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের আরও অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বর্তমানে আমাদের কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট ভাল না। আমাদের অধিক কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমার মূল্যায়ন হলো বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা আমাদের জন্য কঠিন হবে না। কারণ দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ ব্যবহার করতে আমাদের বিনিয়োগের সমস্যা হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সামাজিক সূচকে ভাল অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা এটির সুবিধা পাব। এটি অব্যাহত থাকলে সামাজিক সূচক খাত থেকে আমরা ভাল কিছু পাব।
প্যানেল আলোচক হিসেবে জাতিসংঘ ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের ডিরেক্টর হোলিয়াং জু বলেন, বাংলাদেশে যে বিনিয়োগ রয়েছে তা উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও জিডিপি অনুপাতের দিক থেকে বাংলাদেশ সবার নিচে। জিডিপিতে বাংলাদেশের বিনিয়োগের অনুপাত আরও বাড়াতে হবে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, কৃষক-শ্রমিকদের অবদানের কারণে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে এসেছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের সম্ভাবনার একটি বিষয় হলো বিশাল যুব সমাজ। তবে তাদেরকে দক্ষ করে তোলা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্তের আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সরকারের পলিসি মেকিংয়ের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বেসরকারি খাত আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে।
এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, আমাদেরকে গতানুগতিক ব্যবসায়ীক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শক্তিশালি সামাজিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
এমএএস/এমএমজেড/পিআর