‘উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে পৌঁছাবে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮
ছবি-ফাইল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল আয়োজিত ‘এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপেটেটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে-২-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী। ২৩টি দাতা দেশ, ৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ নিয়ে ১৯৯৭ সালে এ অংশীদারিমূলক প্রোগ্রাম শুরু হয়। ২০১৮-২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের রফতানির সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রফতানি করে। শুধু একটি পণ্যের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য সরকার ইতোমধ্যে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি খাত, ওষুধ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, কৃষিপণ্য রফতানি, চামড়া জাত পণ্য রফতানির মতো বেশ কিছু রফতানি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করলেও আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত এলডিসিভুক্ত দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পরও ইউরোপিয়ন ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করবে। তখন বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০২১ সফলতার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। যারা একসময় বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দরিদ্র দেশের রোল মডেল। আজ ৪৬ বছর পর তারাই বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে জাতিসংঘের দেয়া তিনটি শর্তই পূরণ করেছে, অর্থাৎ যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফলে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে, মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করবে ২০২৪ সালে। এরপরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সব বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত এক্সক্লুসিভ সেক্রেটারিয়েট ফর ইআইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক রত্নাকর অধিকারী, বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব আলী আহমেদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি বিজয় ভট্টাচার্য্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী।

এমএ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।