কৃষিবাণিজ্যে সার্কের একক বাজার সময়ের দাবি
কৃষিবাণিজ্যে সার্কের একক বাজার এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সার্কের ব্যবসায়িক নেতারা। শনিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে তিন দিন ব্যাপী সার্ক ব্যবসায়িক নেতাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনা সভার প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন তারা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ‘অ্যার্গিবিসনেস-টার্গেট-ডাবলিং অ্যার্গিবিসনেস বাই ২০৩০’ শিরোনামের এ প্যানেল আলোচনায় ব্যবসায়িক নেতারা বলেন, ৮টি দেশের ব্যবসায়িক নেতারা যৌথভাবে কাজ করলে তা দক্ষিণ এশিয়াকে বিশ্বের বুকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাবে।
এ পর্বের আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন, বাংলাদেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর সিইও আহসান খান চৌধুরী, পেপসি ইন্ডিয়ার সাবেক নির্বাহী বিবেক ভারতী, পাকিস্তানের গার্ড অটোজনের সিইও শাহরিয়ার আলী মালিক, আফগানিস্তানের কালাম ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জাহরা মিরযায়ী প্রমুখ।
এ আলোচনা পর্বের মডারেটর ছিলেন স্তুতি বাসনায়াত। আলোচনায় সার্ক চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতিখার আলী মালিক সার্কের ৮ দেশের ব্যবসায়িক নেতাদের যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, একক বাজার এবং কৃষি উৎপাদন সেক্টর দক্ষিণ এশিয়াকে বিশ্বের বুকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাবে। সেইসঙ্গে এ অঞ্চল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সার্কের নীতি হচ্ছে এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো নিজেদের নিত্যনতুন প্রযুক্তির দ্বারা উৎপাদিত বীজও বিনিময় করবে। সেহেতু তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করলে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তিনি সার্ক ব্যবসায়িক নেতাদের পানির অপর্যাপ্ততা, খাদ্য ঘাটতি এবং অপুষ্টি দূরীকরণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্ত কৃষি উৎপাদন দিন দিন কমছে। ফসল উৎপাদনের পরের ক্ষতি লাঘবের জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। এই অঞ্চলে জনপ্রতি যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন তা এবছর অনেক কমেছে। জনপ্রতি ১০০০ ঘনমিটার পানি এখন পাওয়া যাচ্ছে যা ১৯৪৭ সালে ছিল ৫২০০ ঘনমিটার।
পাকিস্তানের এ ব্যবসায়িক নেতা বলেন, সার্ক অঞ্চলের ৪০ শতাংশের বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন আমাদের নজর থাকবে সবুজ বিপ্লব এবং চিরসবুজ বিপ্লবের প্রতি।
এসএইচএস/আরআইপি