বড় দরপতনের পর বেড়েছে সূচক
টানা তিন কার্যদিবস বড় দরপতনের পর বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছ। তবে ডিএসইতে কমেছে লেনদেন। বাজারটিতে ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে আজ।
মূল্যসূচকের পাশাপাশি এদিন উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির দাম।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার। যা শেষ ২০ মাস বা ২০১৬ সালের ১০ জুলাই’র পর সর্বনিম্ন। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয় ২০৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার।
টাকার অংকে আজ ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তীয় স্থানে থাকা গ্রামীণ ফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার । ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, এসিআই এবং ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৫২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
লেনদেন হওয়া ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৯টির শেয়ারের দাম গতকালের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৬৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দাম।
এমএএস/এমএমজেড/এমএস