কৌশলগত বিনিয়োগকারী : আরও এক বছর সময় পেল সিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৮

কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) চূড়ান্ত করতে আরও এক বছর সময় পেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৩৩তম কমিশন সভায় প্রতিষ্ঠানটিকে এ সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৮ মার্চের মধ্যে সিএসইকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করতে হবে।

এর আগে কৌশলগত বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করতে চলতি বছরের ৮ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিএসইসি। সেই সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই নতুন করে আরও এক বছর সমায় বাড়ানো হলো।

এ বিষয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ এর ১৪ (১) ধারার ক্ষমতা বলে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করাসহ এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এক বছর সময় দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কৌশলগত অংশীদার চূড়ান্ত করতে এক বছর সময় বাড়াতে আবেদন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত ১ মার্চ সিএসইর বোর্ড সভায়। এরপর সোমবার (৫ মার্চ) সিএসইর পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, যোগ্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে সিএসই কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৪৬টি স্টক এক্সচেঞ্জে ও ৪২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের শর্ত অনুযায়ী, ব্লকড হিসাবে থাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ (সংরক্ষিত শেয়ার থেকে) কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে এবং বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করতে হবে। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য বা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান।

স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনে ২০১৬ সালের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে স্টক এক্সচেঞ্জের সংরক্ষিত ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং সিএসই ওই সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সে দফাতেও ব্যর্থ হয় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

এরপর আরও কয়েক দফা সময় বাড়ায় বিএসইসি। বুধবারের সিদ্ধান্তের আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ ছিল কৌশলগত বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করার শেষ সময়। এ সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর বিষয়ে ডিএসই প্রস্তাব জমা দিতে পারলেও ব্যর্থ হয় সিএসই। অপরদিকে ডিএসই প্রস্তাব জমা দিলেও তা এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি।

এমএএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।