ভারতে পণ্য রফতানির প্রধান সমস্যা অশুল্ক জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভারতে পণ্য রফতানিতে শুল্ক সমস্যা না থাকলেও প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে অনুন্নত অবকাঠামো ও বিদ্যমান অশুল্ক (নন টেরিফ) জটিলতা। রফতানির সম্ভাবনা সত্ত্বেও বেড়েই চলছে বাণিজ্য বৈষম্য। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়িরা।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এবং ইন্ডিয়ান ইমপোর্টার্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইআইসিসিআই) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান, আইবিএফবির সভাপতি এম হাফিজুর রহমান খান, সংগঠনটির পরিচালক এম এস সিদ্দিক, আইআইসিসিআই এর পরিচালক টি কে পাণ্ডে প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, শুল্ক সমস্যা কম থাকলেও বিদ্যমান নন টেরিফ জটিলতা এখন বাণিজ্যের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সনদ থাকা সত্ত্বেও ভারত অনেক পণ্য আটকে দিচ্ছে।

উদারহণ টেনে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ভারতে টয়লেট পণ্য হিসেবে সাবান (সোপ) রফতানি করি। কিন্তু ভারতে কসমেটিকস পণ্য বলে সাবান আটকে দেয় এবং বেশ কিছু মান যাচাই করতে হয়। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট অন্যদিকে খরচও বেড়ে যায়। ভারতে পণ্য রফতানিতে এ রকম শত শত নন টেরিফ বাধার মুখে ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়।

অপরদিকে, বন্দরে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। লোডিং-আনলোডের সময় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর ভারত সরকার উচ্চ হারে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, অনুন্নত যোগাযোগ ও অবকাঠামো সমস্যা দুই দেশের বাণিজ্যের প্রধান বাধা। তাই বাণিজ্য বাড়াতে অশুল্কগত বাধা দূর করতে হবে। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আইন সংস্কার দরকার। ভারত সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে এটি সমাধান করবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে ১০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পাইপলাইনে আছে। এছাড়াও বাণিজ্য বাড়াতে বর্তমানে ২১টি বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে বিএসটিআই’র মান সনদে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত। আরও ছয়টি পণ্য প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ফলের জুস, জেলি, আচার, চাটনি, ফ্রুট ড্রিংকস, সস, টমেটো কেচাপ, বিস্কুট, চানাচুর, নুডলস, পানি, কোমল পানীয়, পাউডার, কার্বনেটেড বেভারেজ, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট স্কোয়াশ, খাবার জেল, টমেটো পেস্টিসহ আরও কয়েকটি পণ্য বিএসটিআই’র মান সনদে ভারতে রফতানি করা যাচ্ছে।

এসআই/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।