বড় দরপতনে সপ্তাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

টানা দরপতনের মধ্যে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যাদিবস রোববারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন হলো শেয়ারবাজারে।

মূল্য সূচকের পাশাপাশি এদিন উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য অপর বাজার সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

শেয়ারবাজারে এ টানা দরপতন শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রকার ধস নামে উভয় শেয়ারবাজারে। ওই দিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকের ৯৯ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচকের ১৭৮ পয়েন্ট পতন হয়।

এমন দরপতনের কারণ খুঁজে বের করতে ওইদিনই ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয় বিএসইসি। চিঠিতে দরপতনের পিছনে কোনো বাজার কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে অতিসত্ত্বর কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে দুই শেয়ারবাজারকে এমন চিঠি দেয়া হলেও দরপতন থামেনি। বরং বিএসইসির চিঠির পরে উল্টো টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠির পরের তিন কার্যদিবস ছোট আকারের দরপতন হলেও রোববার উভয় বাজারে এক প্রকার ধস নেমেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪২ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৮৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই, ফার্মা এইড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, আইডিএলসি, লিগাসি ফুটওয়ার এবং ইউনাটেড পাওয়ার জেনারেশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৫১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।

এমএএস/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।