শিল্পখাতে প্রভূত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ছবি-ফাইল

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের শিল্পখাতে প্রভূত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এর ফলে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় ১০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠেছে। এসব এসএমই শিল্প ডিজিপিতে শতকরা ২৩ ভাগ এবং মোট শিল্প কর্মসংস্থানে শতকরা ৮০ ভাগ অবদান রাখছে।

শনিবার ভারতের নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে আয়োজিত ‘ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দু’দিনব্যাপী এশিয়ান টাইমস চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০১৮ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে অর্জিত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন বছরে বাংলাদেশ ৭ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পাশাপাশি চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ, জনশক্তি রফতানিতে পঞ্চম এবং রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে।’

অন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস এর মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের তিনটি দ্রুত বর্ধণশীল অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত হবে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা ও আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

তিনি এসব সুবিধা উপভোগ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এশিয়ান টাইমস চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এসআই/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।