রফতানি বৃদ্ধিতে অপ্রচলিত পণ্যে জোর দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শুধু তৈরি পোশাক রফতানির উপর ভরসা করে থাকলে চলবে না। বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। দেশ গত অর্থবছরে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তৈরি পোশাক। ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রফতানি পণ্য বহুমূখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘তৈরি প্রশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণ করতে অপ্রচলিত বা নন-ট্রেডিশনাল পণ্যের উপর যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে শিল্পে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। তাই তুলনামূলক কম খরচে বিশ্বমানের রফতানি পণ্য উৎপাদন সম্ভব। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।

তোফায়েল বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে বড় বড় গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। ফ্যাক্টরিগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং কমপ্লায়েন্স। এবার ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি পোশাক কারখানাকে এলইইডি সার্টিফিকেট দিয়েছে তারমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়সহ বাংলাদেশের সাতটি রয়েছে। এটি পোশাক শিল্পের জন্য বিরল সম্মানের। অনেক বাধা বিপত্তি সফলভাবে অতিক্রম করে বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ামক সংস্থা ডব্লিউটিও প্রদত্ত সকল বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম। তৈরি পোশাক খাতে শিশু শ্রম বন্ধ, কোঠা প্রথা বাতিল, কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি নির্মাণসহ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। অতীতের সকল ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যবসা বান্ধব বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ প্রমুখ।

এমইউএইচ/এএইচ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।