সাত মাসে ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ
চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১২ হাজার ৭০২ কোটি ১৭ লাখ টকা। যা পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ২৭ শতাংশ। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ পল্লী অঞ্চলে বিতরণ করতে হবে। পল্লী অঞ্চলে অর্থ সরবারহের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করে। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যবহার চালু করে এর সফলতাও পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরণ হয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
সাত মাসে কয়েকটি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম, আবার কিছু ব্যাংক কোনো ঋণই বিতরণ করতে পারেনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে ব্যাংক আল ফালাহ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও সীমান্ত ব্যাংক কোনো ঋণ বিতরণ করেনি। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম বিতরণ করেছে মধুমতি ব্যাংক ৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে আলোচিত সময়ে বেশকিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন লক্ষ্যমাত্রার ১৯২ শতাংশ, স্টেট অব ব্যাংক ইন্ডিয়া ১৮৭ শতাংশ, কমার্স ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংক শতভাগ, ব্র্যাক ব্যাংক ১১১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ১৫৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৫৭ শতাংশ, এনআরবি ১০৩ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ১২৮ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক ১২১ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১২৪ শতাংশ বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ বাড়াতে সবসময় ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলোর দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ না হলে ব্যাংকগুলোকে জরিমানার গুণতে হবে। এসব কারণেই কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। তবে এখনো কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে তাদের অবশ্যই তা পূরণ করতে হবে।
এসআই/বিএ/জেআইএম