ডলারের লাগাম টানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা ২৫ পয়সা উঠেছে। আমদানি পর্যায়ের ডলারের দর উঠেছে ৮৪.৪৫ টাকায়। ডলারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের দামও। রোববার পাউন্ডের দর বেড়ে হয়েছে ১১৮ টাকা ৯০ পয়সা। গতমাসে একই সময়ে ১১৬ টাকা ৭৫ পয়সা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছেন, টাকা ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানিকারকরা। এ কারণে বিদেশি মুদ্রার দর নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোকে অহেতুক ডলার ধরে রেখে দর বৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সর্তক করা হয়।
বৈঠক উপস্থিত একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ডলারের দর বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সংস্থাটি ডলারের দর যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডলার কিনে রাখতে নিষেধ করে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এতে হস্তক্ষেপ করবে বলে ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়। তবে মুক্তবাজার অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে ডলারের দরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করুক তা চায় না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, ডলারের চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে আর চাহিদা কমলে দাম কমে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। তাই ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয় বলে তারা মনে করেন।
রোববারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক নগদ ৮৫ টাকা ২৫ পয়সায় ডলার বিক্রি করছে। আর সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা ৯০ পয়সায় ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করছে পূবালী ব্যাংক।
এছাড়াও আজকে বৈঠকে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা কেমন হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে পরামর্শ চাওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) দাবির প্রেক্ষিতে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ব্যাংকের মতামত চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এসআই/জেএইচ/জেআইএম