বিনিয়োগকারীদের সেবা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিল পাস
দেশের জনগণের জীবনমান দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং বিনিয়োগকারীদের এক ছাতার নিচে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিল- ২০১৮’ সংসদে পাস হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেই নতুন এ আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিল উত্থাপনকারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
সোমবার বিকেলে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বিলটির জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে ডেপুটি স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে সর্বাধিক সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাস হয়।
পাস হওয়া বিলে বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, অনুমতি, ছাড়পত্র বা পারমিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ‘কেন্দ্রীয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
ট্রেন লাইসেন্স, জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, পরিবেশ ছাড়পত্র, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি-সংযোগ, টেলিফোন-ইন্টারনেট সংযোগ, বিস্ফোরক লাইসেন্স, বয়লার সার্টিফিকেটসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে এসব সেবা দেয়া হবে। এক জায়গায় বসেই যাতে এসব অনুমোদন পাওয়া যায়, সে সুযোগ থাকবে এ আইনের অধীনে। বিনিয়োগকারীদের যে কোনো সেবা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে এতে।
বিলের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিয়ে আসছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা আরো কার্যকর করে তোলা একান্ত প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জোন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের পদ্ধতিকে বিধিবদ্ধ করা, এ আইনকে প্রচলিত অপরাপর সংশ্লিষ্ট আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা দিতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সময়বদ্ধ পদ্ধতিতে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এইচএস/জেডএ/আরআইপি