সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজের উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন ব্যবস্থায় কিংবা এর দাম বাড়ার পেছনে কোনো প্রকার সিন্ডিকেট কাজ করেনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি মো. রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ টন। স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ ঘাটতি বাদে প্রায় ১৭ লাখ পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন ঘাটতি প্রায় সাত লাখ টন। এ ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির মূল উৎস হচ্ছে ভারত। মে-জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত প্রতিটন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। এ মূল্যে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদ করা পেঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত বাজার মনিটরিং টিম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য, মজুদ ও সরবরাহে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তোফায়েল আহমেদ জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর দফতর-সংস্থার কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন দুটি করে মোট ১৪টি টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজারমূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত। প্রতিটি টিমে কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের সদস্যসহ মোট ১১ জন করে সদস্য রয়েছে।

তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং টিমের কার্যক্রম জোরদারকরণে বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে বাজার মনিটরিং টিমের দলনেতাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দফতর-সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, চাহিদা নির্ণয়, স্থানীয় উৎপাদন, মজুদ পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিক পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

এইচএস/জেডএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।