কর আদায় বাড়াতে এনবিআরের সংস্কার জরুরি
জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে বিশ্বের যে সব দেশে কম কর আদায় হয়, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এই অবস্থার উন্নয়নে বিদ্যমান কর আইন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ব্যাপক সংস্কার জরুরি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোর্স মাস্টারস অব অ্যাকাউন্টেন্সি ইন ট্যাক্সেশন প্রোগ্রামের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের জিডিপির অনুপাতে কর আদায় মাত্র ১০ দশমিক ২ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও এই হার সবচেয়ে কম। অন্যদিকে বাংলাদেশে করের হার সবচেয়ে বেশি। আবার মোট করের মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর মাত্র ৩ শতাংশ। যা অত্যন্ত হতাশাজনক। আর এ অবস্থার থেকে উন্নয়নে বিদ্যমান কর কাঠামোর সংস্কারের বিকল্প নেই।
কোর্সের পরিচালক ঢাবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া,অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ঢাবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, শিগগিরই নতুন আয়কর ও শুল্ক আইন আসছে। যা করদাতাদের সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান আয়কর এবং শুল্ক আইন নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা রয়েছে। বলা হচ্ছে এই আইন যুগোপযোগী নয়। কিন্তু নতুন ম্যাসেস হল কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন আয়কর ও শুল্ক আইন আসছে। এই আইন অত্যান্ত সহজ এবং ব্যবসাবান্ধব হবে। আইনে ব্যবসায়ীদের হয়রানি নয় বরং সহায়তা করা হবে। তিনি বলেন, আভ্যন্তরীণ সম্পদ আদায়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে যাচ্ছে দেশ। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে কর আদায় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়বে।
এসআই/জেএইচ