শেখ হাসিনা আরেক টার্ম থাকলে দেশে দরিদ্র থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেক টার্ম ক্ষমতায় থাকলে দেশে আর দরিদ্র থাকবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মুহিত বলেন, এখনও ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। এসব মানুষকে দারিদ্র্য সীমার ওপরে আনতে হবে। এ জন্য আরেক টার্ম দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেক টার্ম পেলে দেশে আর দারিদ্র থাকবে না। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশ যথেষ্ট এগিয়েছে। তবে এখনও দেশে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে আছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এ সংখ্যা কম। বহুদেশ আছে যেগুলোকে একত্র করলেও ৩ কোটি মানুষ পাওয়া যাবে না। সুতরাং মানবিক দিক থেকে বিচার করতে গেলে এখনও সমস্যা জটিল। এ ৩ কোটি মানুষকে কীভাবে ভদ্র জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে পারি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বড় গুণ ১০০ শতাংশ জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। মানুষের উন্নয়ন চায় এবং সব সময় চিন্তা করে এই ৩ কোটি মানুষকে আরেকটু সামনে নিয়ে যাওয়ার।

সরকার গত ১০ বছরে প্রায় ৯ শতাংশ মানুষকে দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি এবং যেসব কৌশল অবলম্বন করেছি তাতে আর ৫ বছর শেখ হাসিনার দরকার। সেটি তিনি পেলে ২০২৪ সালে এদেশে দারিদ্র্য থাকবে না। এটা আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। দরিদ্র থাকবে না কিন্তু কিছু লোক সব সময় রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল যারা বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী। এ সংখ্যা সব দেশেই আছে। এ সংখ্যা ১০-১২ শতাংশ।

মুহিত বলেন, জিডিপির ৩০-৩১ শতাংশ বিনিয়োগের মধ্যে সরকার ৭ শতাংশ বিনিয়োগ করছে। একটু বেড়েছে বর্তমান সরকারের সময়। ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। বাকিটা বেসরকারি খাত বিনিয়োগ করেছে। এটা যেন অব্যাহত থাকে সেই পরিবেশ শেখ হাসিনার সরকার আবিষ্কার করেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যথোপযুক্ত নয়। তবে গার্মেন্টস শিল্প যখন শুরু হয় তখন মাত্র ১৫ শতাংশ নিজেরাই উৎপাদন করতে পারতাম। বাকি সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। মূল্য সংযোজন ১০-১৫ শতাংশের বেশি ছিল না। আজ ৫০-৬০ শতাংশ নিজেরা উৎপাদন করে। এ প্রবৃদ্ধির পেছনে এক্সেসরিজ শিল্পের মূল্যবান অবদান আছে। সে কারণেই মূল্য সংযোজন বাড়ছে।

আমাদের উন্নয়নে একটি খাতে হলেও সেটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। গার্মেন্টসের সঙ্গে বিভিন্ন শিল্পের সম্পর্ক আছে। এ শিল্পের ১০-১৫ শতাংশ অবদান রাখছে। এখন এক্সেসরিজ শিল্প নিজেরাই এক্সপোর্ট বাজার সৃষ্টি করছে, বলেন অর্থমন্ত্রী।

এমএএস/জেএইচ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।