রোদের তাপে হাসছে মেলা

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। নেই কোনো শঙ্কাও।বেচা-কেনাও হচ্ছে বেশ। তবুও কেন যেন ঢিমেতালে। মেলার রঙিন আলোও ফ্যাকাশে হয়ে আসছিল টানা শৈত্যপ্রবাহে। লাখো প্রাণের মিলন রোজ বাণিজ্য মেলায়। তবুও যেন শুনশান নীরবতা। অতিঠান্ডায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে ঘাটতি ছিল মেলার শুরু থেকে।

মেঘহীন আকাশে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া মিলে আঁধারের যে ঘোর নেমেছিল গেল দুই সপ্তাহে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই যেন তা কেটে যায়। হেসে ওঠে বাণিজ্য মেলা। মাঘের মিষ্টি রোদের উত্তাপ ছড়িয়েছে ছুটির দিন শুক্রবারের প্রাণের এ মেলায়।

cool

রোদের পরশে অসহনীয় ঠান্ডার খোলস বদলের সুযোগ পেয়ে এদিন মেলার প্রধান ফটক খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণের প্রাণ মেলে ধরে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তাতেই যেন দেশের বৃহৎ এ মেলার চিত্র পাল্টে যায়। জমে ওঠে মধ্য সময়ের বাণিজ্য মেলা।

রোদের অপেক্ষা ছিল মেলার শুরুর দিন থেকেই। কিন্তু রোদ তো দূরের কথা, সূর্যের দেখাও মেলেনি এ কদিন। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস গায়ে মেখে বাইরে বের হওয়ার জো ছিল না রাজধানীবাসীর। হঠাৎ উষ্ণতা পেয়ে সবাই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়লো পণ্যের বৃহত্তম বাজার বাণিজ্য মেলায়। সূর্যের আলোয় ব্যবসার আলো দেখছেন মেলায় অংশ নেয়া ব্যবসায়ীরাও।

cool

রিগ্যাল ফার্নিচারের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার দেবাশীষ সরকারের সঙ্গে কথা হয় মেলা পরিস্থিতি নিয়ে। বলেন, শুরু থেকে ভালো যাচ্ছে এবারের মেলা। তবে শৈত্যপ্রবাহ খানিকটা বিঘ্ন ঘটিয়েছিল বটে। সেটি কেটে যাওয়ায় বাণিজ্য মেলায় ছন্দ এসেছে। প্রচুর ক্রেতা ভিড়ছে।

রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে রিমা মেলায় এসেছেন তার মায়ের সঙ্গে। বলেন, ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারিনি আগে। দুই সপ্তাহ তো ঘর থেকেই বের হতে পারিনি। এখন তাপমাত্রা বেড়েছে, যে কারণে মেলায় আসার সিদ্ধান্ত নেই। দিনভর কেনাকাটা করবো। মেলার শেষের দিনগুলোতে প্রচন্ড ভিড় হবে। তাই ছুটির দিনেই চলে আসা।

cool

এবারের বাণিজ্য মেলার সমন্বয়ক মোর্শেদ জামান বলেন, বাণিজ্য মেলা সাধারণত মধ্য সময়ের পর থেকে জমে ওঠে। এবার শুরুর দিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। সারাদেশ থেকে মানুষ পণ্য কিনতে আসে এ মেলায়। শীতের প্রভাবে খানিকটা ভাটা পড়েছিল, তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিত্র পাল্টে গেছে। ক্রেতা আর বিক্রেতা মিলে উষ্ণতা ছড়িয়েছে মেলায়। আশা করছি, এবারের মেলা শেষ পর্যন্ত সফল হবে।

এএসএস/এমএআর/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।