জুয়েলারিতে আটকা নারীর মন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

নারীর রূপ গহনায়। গহনার রূপেই নারীর মন। রূপ বিলাসিতায় যখন থেকে নারী নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন, হয় তো তখন থেকেই সৃষ্টি বাহারি গহনার। সময়ের বিবর্তনে দিন দিন বৈচিত্র্য এসেছে এতে।

আধুনিক সভ্যতায় নারীর রূপ-সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে জুয়েলারি সামগ্রীর যেন বিকল্প নেই। নারীর মনকে গুরুত্ব দিয়ে কারিগররা এর বাহারি রূপ দেন। তাই তো জুয়েলারি সামগ্রী দেখলেই আটকে যায় নারীর মন। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতে দেখা মিলছে তেমনই দৃশ্য।

মেলার প্রথম দিন থেকে অংশ নেয়া জুয়লারি সামগ্রীর স্টলগুলোতে দেখা গেছে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। জুয়েলারির প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও বেশ। শুক্র ও শনিবার বাদে অন্য দিনগুলোতে যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিক্রির পরিস্থিতি নিয়ে হা-হুতাশ করছে, সেখানে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

মেলার প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে এগোলেই চোখে পড়বে ঝুমকা ফ্যাশন জুয়েলারি। প্রতিষ্ঠানটি নারীদের হাতের, গলার, কানের রকমারি জুয়েলারি সামগ্রী বিক্রি করছে। প্রতিদিনই স্টলটিতে দেখা যায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়।

ঝুমকা ফ্যাশন জুয়েলারির মালিকের ভাই মো. মহাসিন জানান, তাদের স্টলে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা মূল্যের চুড়ি, ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যের কানের দুল, ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার গলার হার, ২০০ থেকে ৫৫০ টাকা মূল্যের হাতের ব্রেসলেট রয়েছে। এছাড়া হাতের ঘড়িসহ নারীদের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।

কোন কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে- জানতে চাইলে মহাসিন বলেন, সব পণ্যই টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। তবে কানের দুল, গলার হার এবং হাতের ব্রেসলেটের চাহিদা বেশি। মেলার প্রথমদিক হিসেবে বিক্রির পরিস্থিতি মোটামুটি। বেশি বিক্রি হচ্ছে শুক্র ও শনিবার। আশা করছি মেলার শেষের ১৫ দিন বিক্রি বাড়বে।

মেলার পশ্চিম দিকে অবস্থিত থাই প্যাভিলিয়নে জুয়েলারি সামগ্রীসহ নারীদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্যাভিলিয়নটির ব্যবসায়ী আরাফাত বলেন, নারীদের হাতের, গলার, কানের- সব ধরনের গহনা আমাদের কাছে আছে। বিভিন্ন শোপিসও আছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে কানের দুল। গলার হারও বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি। তবে নারীদের ব্যাগ ও শোপিস বিক্রি খুব একটা হচ্ছে না।

মেলা থেকে এক জোড়া কানের দুল কেনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার বলেন, জুয়েলারি সামগ্রী পরলে সৌন্দর্য কিছুটা হলেও বাড়ে। একটি মেয়ের হাত ও গলা খালি অবস্থায় যেমন দেখায় গহনা পরলে নিশ্চয়ই তেমন দেখায় না। হোক সেটি স্বর্ণের বা ইমিটেশনের। কানে ও গলায় কিছু একটা থাকলে সৌন্দর্য বাড়ে। সে কারণে মেয়েরা জুয়েলারি সামগ্রী বেশি পছন্দ করেন।

মিরপুর থেকে পরিবারসহ মেলায় আসা বেগম কামনুর নাহার বলেন, আমার মেয়ে সাজতে ভালোবাসে, আমিও। ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ না থাকায় মেয়েকে স্বর্ণের সব গহনা দেয়া সম্ভব হয় না। তাই ইমিটেশনের কিছু গহনা কিনেছি। দাম কম হলেও এসব গহনা দেখতে স্বর্ণের মতো। আশা করি মেয়ের পছন্দ হবে।

এমএএস/এমএআর/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।