শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেনে খরা। টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি আজ উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মাত্র ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দাম। এদিন বাজারটিতে মোট ৩২৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন (বৃহস্পতিবার) লেনদেন হয়েছিল ৩৮১ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে বিডি থাইয়ের শেয়ার। আজ কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। আর ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল টিউবস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- কেয়া কসমেটিক, স্কয়ার ফার্মা, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইসলামী ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স রোববার ১১১ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৭৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দাম।
এমএএস/এমএমজেড/আরআইপি