কারণ ছাড়াই বাড়ছে জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম বাড়ার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএসই জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে গত ১০ জানুয়ারি জুট স্পিনার্স কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকেই জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। ১ জানুয়ারি কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ১০৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১০ জানুয়ারি ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছায়। অর্থাৎ ১০ দিনে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬২ টাকা ৩০ পয়সা।

শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। চলতি হিসাব বছরেও (২০১৭-১৮) প্রতিষ্ঠানটিতে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’ ২০১৭) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৫ পয়সা।

এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসই জুট স্পিনার্সের ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি আয় এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যের তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১২ সাল বাদে প্রতি বছরেই কোম্পানিটি লোকসানে ছিল এবং সম্পদ মূল্যও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির সব সম্পদ বিক্রি করলেও দায় পরিশোধ হবে না।

ডিএসসি সূত্রে জানা গেছে ২০১৩ সালে জুট স্পিনার্সের শেয়ার প্রতি লোকসান ও সম্পদ মূল্য ছিল যথাক্রমে ৪৮ টাকা ১৪ পয়সা এবং ঋণাত্মক ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা। পরের বছর ২০১৪ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান ও সম্পদ মূল্য ছিল যথাক্রমে ৪৩ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ঋণাত্মক ৮৩ টাকা ৯২ পয়সা।

এভাবে প্রতিবছরই কোম্পানিটি লোকসান করছে আর সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক হওয়ার হার বাড়ছে। ২০১৫ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান ও সম্পদ মূল্য ছিল যথাক্রমে ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা এবং ঋণাত্মক ১০৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান ও সম্পদ মূল্য ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ১০ পয়সা এবং ঋণাত্মক ১৪৭ টাকা ৪৪ পয়সা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, জুট স্পিনার্সের মোট শেয়ারের ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৩৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।

এমএএস/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।