ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

ছুটির দিনে জমজমাট ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলা শুরুর দ্বিতীয় শনিবারে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আগের দিন শুক্রবারের মতো গতকাল ১৩তম দিনে ছুটি থাকায় চিরচেনা রূপ ফিরে পায় মেলা। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বেড়েছে বেচাকেনাও।

গতকাল মেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশ গেটে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। দুপুরের পরপরই পার্কিং স্পেসসহ আশপাশের স্থানগুলো ভরে ওঠে কানায় কানায়। এমনকি সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়াও আশপাশের কোথাও খালি স্থান চোখে পড়েনি।

শীত উপেক্ষা করে মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। এমন উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিক্রেতারা। ছুটির দিনে ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি তারা। আর বেছে বেছে ভালো পণ্য কিনতে পারায়, সঙ্গে মূল্যছাড় পাওয়ায় ক্রেতার মুখেও হাসি।

fair

একদিকে ছুটি অন্যদিকে শীতের আমেজ হওয়ায় স্টল-প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি। সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলার ভেতর-বাহির একাকার হয়ে গেছে। এদিন দুপুর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। বিকাল ৩টার পর মেলা জমে ওঠে পুরো মাত্রায়। মানুষের ভিড়ে মেলার আশপাশের সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট। সেই যানজট ফার্মগেট, আসাদগেট, আগারগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এসব এলাকার যানবাহনগুলো একেবারে স্থির, কোথাও ধীর গতিতে চলে। তবে মেলায় আগতদের ভীড় দেখে হাঁসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। তারা এবার মেলায় অধিক বেচাবিক্রি ও লাভের প্রত্যাশা করছেন।

মেলার ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মীর শহিদুল আলম বলেন, শীত আগের চেয়ে একটু কমেছে। এজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও মেলায় দর্শনার্থীরা আসছেন। শুরু থেকে না হলেও এখন মেলা জমে উঠেছে। ছুটির দিনগুলোতে আশানুরূপ ক্রেতা সমাগম ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

fair

মেলায় মিরপুর থেকে সপরিবারে এসেছেন সরকারি চাকরিজীবী অসিম কুমার। তিনি ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। বাচ্চাদের মেলার শিশু পার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়িয়েছেন। বলেন, এবারের মেলা আগের তুলনায় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত। বাচ্চাদের জন্য মেলার ভেতর শিশু পার্ক স্থাপন খুবই ভালো উদ্যোগ। বাচ্চারা এখানে এসে খুব মজা পাচ্ছে।

মেলায় আসা পুরান ঢাকার তানিয়া বলেন, মেলায় এসেছি একটি টিভি কেনার জন্য। বিভিন্ন শো-রুম ঘুরে দেখছি। একস্থানে অনেক কোম্পানির পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। ঘুরে ঘুরে দেখে পছন্দ হলে অর্ডার দেবো। বাসার কাছ থেকে কোনো শো-রুম থেকে ডেলিভারি নেবো।

fair

মেলায় সনি প্যাভিলিয়নের ম্যানেজার মো. সারোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, মেলায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ভালো ও নতুন মডেলের পণ্যের সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচয় করে দেয়া। কেউ যদি এখান থেকে পণ্য না কিনে শুধু পছন্দ করেন- সেক্ষেত্রেও আমাদের চেষ্টা সার্থক। কেননা তিনি তো দেশের কোনো না কোনো শো-রুম থেকে আমাদের পছন্দসই পণ্যটি কিনবেন।

মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মেলা কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, প্রতিটি মেলার ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রথম কয়েক দিন একটু

ঢিলেঢালা থাকে। তবে এবার তেমনটা হয়নি। মেলার শুরু থেকেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সবাই খুশি।

তিনি বলেন, মনে হচ্ছে এবারের মেলায় অন্যবারের তুলনায় সাড়া বেশ। প্রচণ্ড শীতেও দর্শনার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা না থাকায় নির্বিঘ্নে সবাই মেলায় আসছেন। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় আমরাও খুশি।

এসআই/এমএআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।