শীতের কমতি বেড়েছে কাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

 

প্রকৃতির নিদারুণ খেলা। কী গরম কী শীত! দুটাই মাত্রাতিরিক্ত। এবার যে রেকর্ড পরিমাণ শীত তার প্রভাব পড়েছে বাণিজ্য মেলায়। কম ছিল দর্শনার্থী, বিক্রিতেও পড়ে ভাটা। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি। স্টলগুলোতে পণ্যের কাটতিও বেশ।

বিক্রেতারা বলছেন, গত শুক্রবারের পর থেকে মেলা প্রায় জমে উঠেছিল। কিন্তু বাগড়া দেয় শীতের প্রকোপ। গত মঙ্গলবার থেকে সে দৃশ্য বদলাতে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকে দর্শনার্থী বেড়েছে। বিক্রিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দিনশেষে বিক্রিতে সন্তোষ স্টল ও প্যাভিলিয়ন মালিকরা।

মিরপুর থেকে বাণিজ্য মেলায় এসেছেন আমিন। অফিসের কাজের ব্যস্ততায় সময় করে মেলায় আসা হয়নি। গতকাল একটু রিলাক্স পেয়ে ছুটে এসেছেন মেলায়। কেনাকাটির পাশাপাশি একটু ঘোরাঘুরি তো আছেই। কথা হয় তার সঙ্গে। বলেন, প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে হবে। অফিসের কাজ শেষ করে আসাই হচ্ছিল না। আজ দেখে গেলাম। আগামী ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে মেলায় আসবো। ওই সময় কেনাকাটির পাশাপাশি পরিজন নিয়ে আনন্দও করা যাবে।

গৎবাঁধা জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে বাণিজ্য মেলা একটা বড় সুযোগ- যোগ করেন তিনি। গতকাল মেলার ছিল ১০ দিন। এদিন শুরু থেকে মেলা প্রাঙ্গণে লোকসমাগমের উপস্থিত ছিল বেশ ভালো। বিকেলের দিকে প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় মেলার মাঠ।

সন্ধ্যার দিকে মেলার মাঠ থেকে বের হওয়ার পথে কথা হয় শিশু আজিজের সঙ্গে। সে বলে, মেলায় আসতে ভালো লাগে। অনেক ধরনের রাইডস আছে। সেগুলোতে চড়তে বেশ মজা। মা তানিসা রায়হান বলেন, ছেলের বাইনা পূরণ করতে দুপুরের দিকে আসা। এ সুযোগে কিছু কেনাকাটাও শেষ করেছি। এখন সবাই ক্লান্ত। কিন্তু ছেলেটা কিছুতেই মেলা থেকে আসতে চাচ্ছে না। আবারও আসবো বলে তাকে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থেকে আসা দর্শনার্থী আসমা আক্তার বলেন, সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কেনার উদ্দেশ্যে মেলায় আসা। এখানে অনেক স্টল আছে। সেখানে নতুন নতুন পণ্য পাওয়া যায়। কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য কিনেছি। ঘুরে দেখছি, পছন্দ হলে আরো কিনবো।
শুধু ঢাকা শহর নয়, ঢাকার বাইরের আশপাশের জেলা থেকেও মানুষ আসছেন মেলায়। গাজীপুরের বাসিন্দা হোসন মিয়া বলেন, মেলা উপলক্ষে ঢাকায় আসা। উঠেছেন জিগাতলা এক আত্মীয়ের বাসায়। দুপুরের খাবার শেষে পরিবার নিয়ে এসেছেন। বেøজার, কোটি, বাচ্চাদের জন্য খেলনা ও কিছু তৈজসপত্র কেনার ইচ্ছা আছে বলে জানান তিনি।

এবার বাণিজ্য মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৫৮৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন রয়েছে ১১২টি। ৭৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ছাড়াও রয়েছে ৪০০টি স্টল। ১৪ ক্যাটাগরিতে দেশ-বিদেশের ৫২০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে।

বেচাবিক্রি সম্পর্কে হোম টেক্সট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী ইয়ামিন বলেন, আজ (বুধবার) সকাল থেকে বিক্রি বেশ ভালো। জনসমাগমও বেশ। আশা করছি সামনে বেচাবিক্রি আরো বাড়বে।

এমএ/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।