অভিযান শেষ ফের জায়গা দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্য মেলার ভেতরে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো তাদের নির্দিষ্ট বরাদ্দের অতিরিক্ত জায়গা ব্যবহার করে খাবার তৈরি ও পণ্য সাজিয়ে রাখছে। ফলে মেলার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে।

বিষয়টি নজরে এনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্দিষ্ট জায়গায় সব কাজ করার মৌখিক নির্দেশনা দেন। কিন্তু দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের জায়গা দখল করে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

মাসব্যাপী আয়োজিত ২৩তম এ মেলার মূল ফটকের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্যাভিলিয়নের পাশে ৭ মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজিয়ে শোনা ও দেখার ব্যবস্থা করেছে ‘ওকে মোবাইল’ কোম্পানি। এর পাশেই রয়েছে মা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড পিঠা ঘর নামের খাবার প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটি ‘ওকে মোবাইল’ কোম্পানির গেটের জায়গা দখল করে বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রেখেছে। ফলে ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে শোনা এবং দর্শনার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখানোর বিষয়টি বধাগ্রস্ত হচ্ছে। সামনের জায়গা দখল করে পণ্য রাখায় সাধারণ ক্রেতা-দর্শনার্থীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

hotel-2

বিষয়টি উপলব্ধি করে গত রোববার ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ম্যাজিস্ট্রেট নিজে ‘মা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড পিঠা ঘর’ কর্তৃপক্ষকে দখল করা জায়গা ছেড়ে দিতে মৌখিক নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেন মেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেনকে। কিন্তু গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ‘মা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড পিঠা ঘর’ আগের মতো জায়গা দখল করে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এছাড়া মেলার আর- ১১, ১২, ১৩নং দোকানের বরাদ্দ পাওয়া দিল্লি শর্মা অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউস; এফএস-২০ ও ২১ এর গ্রিনল্যান্ড হাউস লেকভিউ রেস্তোরাঁ; আর- ১৪, ১৫ ও ১৬ এর আবুল হোটেল ও রেস্টুরেন্ট; আর- ৩ এর অরিজিনাল হাজীর বিরিয়ানি, হাজীর বিরিয়ানি অ্যান্ড শাহী কুস্তরি কাবাবসহ অধিকাংশ খাবার হোটেল তাদের নির্দিষ্ট সীমানা ছাড়িয়ে সামনের জায়গা দখলে নিয়ে বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি ধোঁয়া সৃষ্টি করে খাবার তৈরি করছে। এর প্রভাবে মেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

মোহাম্মপুর থেকে মেলায় আগত সাগর জানান, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো স্টলের সামনের জায়গা দখল করায় দর্শনার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া কাবাবসহ বিভিন্ন খাবার তৈরিতে জ্বলন্ত কয়লার ধোঁয়া মেলার পরিবেশও নষ্ট করছে। বিষয়টি মেলা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।

এ বিষয়ে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি খাবারের প্রতিষ্ঠানকে নানা অনিয়মে জরিমানা করা হয়েছে। অনিয়ম করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। এতে কাজ না হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এমইউএইচ/এমএআর/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।