মেলায় বাহারি গৃহস্থালি পণ্য

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৮

গৃহিণীদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রান্নার কাজ সহজ ও সুন্দরভাবে পরিবেশনের জন্য বাণিজ্য মেলায় মানানসই সব গৃহস্থালি পণ্যের পসরা সাজিয়েছে দেশি-বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠান। শৌখিন জিনিসপত্রের পাশাপাশি ঘরের নিত্য ব্যবহারের তৈজসপত্র রয়েছে এসব কোম্পানির স্টলে। পণ্যভেদে রয়েছে বিশেষ অফার। ফ্রিসহ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মূল্যছাড়ের অফারও রয়েছে।

বাণিজ্য মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় প্রায় ২০টির মত স্টল ও প্যাভিলিয়ন গৃহস্থালি পণ্যের পসরা সাজিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছে এসব স্টলে। হাড়ি পাতিল, ইলেকট্রিক মাল্টি কুকার, মাইক্রোয়েভ ওভেন, সসপেন, ওয়াটার ফিলাটার, গ্যাসের চুলা, ননস্টিকি প্রেসার কুকার, হটপট, অ্যালুমিনিয়ামের কারুকাজ করা ট্রে, মগ, গ্লাস, বাটি, বড় থালা, টিফিন বক্সসহ হরেক রকম তৈজসপত্র রয়েছে এসব দোকানকে। তৈজসপত্রগুলোর মধ্যে নতুন ও ব্যতিক্রমী পণ্যের দিকে আগ্রহ বেশি দর্শক-ক্রেতাদের।

মেলায় তৈজসপত্র বিক্রি করছে ডেজিনি নামের দেশীয় প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রেতা মাহফুজ জাগো নিউজকে জানান, মেলা উপলক্ষে ক্রেতাদের বিশেষ অফারে ৩৩ হাজার টাকার ১২ পিস পণ্য সাড়ে ২৪ হাজার টাকায় দেয়া হচ্ছে। ১২ পিসের মধ্যে রয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ইটালিয়ন চুলা, ২৮ লিটারের মাইক্রোয়েভ ওভেন, মাল্টি কুকার, কারি কুকার, রাইস কুকার, স্যান্ডউইচ মেকার, পানির ফিল্টার, ৫টি রান্নার হাঁড়ি, ব্যালেন্ডার, রুটি মেকার। এছাড়াও ক্রেতাদের পছন্দমত পণ্য পরিবর্তন করতে নিতে পারবেন।

Commerce Fair

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাজারের আইটেম রয়েছে। সব ধরনের পণ্যের মূল্য ছাড় দেয়া হচ্ছে। স্টিলের তৈরি কারুকাজ অ্যানোডাইস ট্রে সেট বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। প্রতিটি সেটে তিনটি করে ট্রে রয়েছে। সোনালী রঙের কারুকাজ করা টিফিন ক্যারিয়ারও পাবেন ১ হাজার থেকে ২৫শ’ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের চামচ সেট ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মেলায় ১৯৬-১৯৭ নম্বার স্টলে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ে কুকিজি আইটেমের পণ্য বিক্রি করছে মিয়াকো। প্রতিষ্ঠনটির বিক্রিয় কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হকিস ব্র্যান্ডের ৪ পিস বিভিন্ন আকারের নন-স্টিক পেশারকুকার সাড়ে ৭ হাজার টাকা। মেলা উপলক্ষে ৫০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছি মাত্র ৩ হাজার ৭৫০ টাকায়। মিয়াকো থাইল্যান্ডের নন-স্টিক পেশারকুকার, মাইক্রোয়েভ ওভেনেও রয়েছে ৫০ শতাংশ ছাড়। এছাড়া সব ধরনের পণ্যে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ ছাড়া দেয়া হচ্ছে।

Commerce Fair

স্টলগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের প্লেট রয়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। পাশাপাশি ঢাকনাসহ বাটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। সসপ্যান ও কারিপ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় হটপট, স্টেলের রুটি মেকার বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও সজবি কাটার কেচি, স্টেলের বিভিন্ন আকারের বাটি ৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর বলেন, শীতের কারণে মেলায় দর্শনার্থী কম। কিছু আসলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন, কিনছে না। তাই এখনো আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে না।

এদিকে এতো ছাড়ের পরও পণ্যের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেন রাজধানীর রামপুরা থেকে আসা দর্শনার্থী ফাহমিদা হক। তিনি বলেন, সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু গৃহস্থালি পণ্য কেনার উদ্দেশে মেলায় আসা। এখানে অনেক স্টল থাকে। নতুন নতুন পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে যেটা বুঝলাম দাম সচরাচর দামের চেয়ে বেশি। দু-একটা পণ্যের ছাড় দিলেও তা যে খুব বেশি তা নয়।

এসআই/আরএস/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।