‘শ্রীহীন’ বিদেশি প্যাভিলিয়ন

মামুন আব্দুল্লাহ মামুন আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৮

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পার করেছে চতুর্থ দিন। এবার মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী টানতে রকমারি আয়োজন রয়েছে। ধীরে ধীরে জমেও উঠছে মেলা। কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণের এ বিপুল আয়োজন কিছুটা শ্রীহীন বিদেশি প্যাভিলিয়ন এলাকা। কারণ বেশিরভাগ বিদেশি প্যাভিলিয়নের নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এবার মেলায় অংশ নেয়া বিদেশি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস ও দক্ষিণ কোরিয়া। এসব দেশের মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে মেলায়।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বিদেশি প্যাভিলিয়নের কাজ চলছে। কিছু বিদেশি প্যাভিলিয়নে এখনো অনেক স্টল খালি পড়ে আছে। কিছু স্টলে কাজ চলছে। তবে কাজ শেষে সাজসজ্জায় এগিয়ে রয়েছে থাইল্যান্ড প্যাভিলিয়ন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলার মূল ফটক করা হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই ডান দিকে বিদেশি প্যাভিলিয়নের গলি। এখানে ৪৩টির মতো স্টল আছে। বিদেশি প্যাভিলিয়নের মধ্যে তুরস্কের ১৪ নম্বর ও থাইল্যান্ডের ১৫ নম্বর প্যাভিলিয়ন। এ দুটি পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে ১৩, ১৯ ও ২০ নম্বর প্যাভিলিয়নের কাজ এখনো চলছে। সেখানে টাইলস বসানো ও ভেতরের সজ্জার কাজে ব্যস্ত দেখা যায় নির্মাণ শ্রমিকদের।

২৬ নম্বর প্যাভিলিয়নটি পাকিস্তানের। এটির কাজও শেষ হয়নি। ভেতরে চলছে স্টল গোছানোর কাজ। পাকিস্তান প্যাভিলিয়নের বাংলাদেশি প্রতিনিধি মো. হাসান বলেন, এবার নির্মাণ শ্রমিকের বেশ সংকট ছিল। মেলা কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ দিতে একটু সময় বেশি লাগিয়েছে। যে কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।

এদিকে, মেলা শুরুর আগেই নিজেদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন সাজানো শেষ করেছে থাইল্যান্ড। এ প্যাভিলিয়ন বানানো হয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে। একবারে চোখধাঁধানো। সেখানে ভিড় ছিল মেলায় আসা দর্শনার্থীদের।

এমএ/এসআর/এমআরএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।