শুক্রবার থেকে জমবে মেলা : আশা ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৮

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮। প্রথম দিন থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম শুরু হলেও তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। গতকাল মেলার দ্বিতীয় দিনও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি ব্যবসায়ী ও আয়োজকরা। তবে তাদের আশা, আগামী শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে। তাদের পদভারে পুরোদমে জমে উঠবে মেলা।

কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম দু’দিন মেলায় দর্শনার্থী সমাগম ভালো বললেও অধিকাংশ ব্যবসায়ী বলছেন, আগতদের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তাদের আশা, ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার থেকে মেলা জমে উঠবে। তাদের বেচাবিক্রিও বাড়বে।

মেলার শুরুর দিকে সাধারণত ছুটির দিনেই বেশিসংখ্যক মানুষ মেলায় আসেন। তাই শুক্রবারের আশায় প্রহর গুণছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী স্টল প্রতিনিধিরা।

গতকাল সকালে মেলাপ্রঙ্গণে তেমন দর্শক দেখা যায়নি। দুপুরের পর আসতে শুরু করেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তাদের জন্য নানা আয়োজন আর অফার নিয়ে প্রস্তুত প্রতিটি স্টল।

মেলার বেচাবিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তানিন গ্রুপের ডিজিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এস এ বি বাকিউল হক বলেন, মেলা শুরুর প্রথম দু-তিনদিন ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হয়। এবারও তাই হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তেমন ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তবে আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। তখন বেচাবিক্রিও বাড়বে।

তবে ভিন্ন কথা বলেন আরএফএল’র প্রিমিয়ার স্টল ৪৬-এর ইনচার্জ সিরাজুল গনি মঞ্জু। তিনি জানান, তাদের স্টলে টপার, টেল, ওয়াকারের পণ্য রয়েছে। গত দুদিনে তারা অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে। আগামীতে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা তার।

সিরাজুল গনি আরো জানান, তাদের স্টলের অধিকাংশ বিক্রয়কর্মীকে মেলার এক মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো ছাত্র। তারাও মেলায় দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত।

বেক্সি ফেব্রিকস প্রিমিয়ার স্টল ৪২-এর ক্যাশ ইনচার্জ ফকির মোশারফ জানান, যেদিন থেকে বণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই তারা মেলার সঙ্গে যুক্ত। ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি বলেন, মেলা শুরুর প্রথম সপ্তাহে দর্শনার্থী-ক্রেতার সংখ্যা কম হয়। এবার সে রকমই হয়েছে। তাই দ্বিতীয় দিনও তেমন ক্রেতা নেই। তবে আগামী শুক্রবার থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, শুধু ভালো বেচাকেনা কিংবা লাভ করা হবে- এমন উদ্দেশ্যে মেলায় অংশ নিচ্ছেন না। সারা বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এ মেলায় আসেন। তাদের সামনে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনই মুখ্য।

গত সোমবার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজক।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, এবার মেলায় একটি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ৬৫টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন, ১৬টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন, ২৩টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ছয়টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, সাতটি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭২টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৩টি বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, ২৫৩টি সাধারণ স্টল, ৩১টি খাবারের স্টল, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি স্টল, একটি বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং মা ও শিশুদের জন্য তিনটি স্টল রয়েছে।

এমইউএইচ/এসআর/এমএআর/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।